দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২২০ বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এমনকি ম্যাচের শুরুতেই টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তে নেওয়ার পরও বেশ হতবাক হয়েছেন অনেকেই। এ দলে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। ম্যাচ হারের পর অনেকেই হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোকে নিয়েও তুলেছেন প্রশ্ন। তবে বিসিবি সভাপতির মতে, শুধুই শুধুই ম্যাচ হারের পর কোচকে বলির পাঠা বানানো হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট হারের পর বরাবরই মতো হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর সমালোচনায় মুখর সবাই। এমন সময় হেড কোচের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানান, কোনো কারণ ছাড়াই রাসেল ডোমিঙ্গোর সমালোচনা করা হয়।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘কোনো কিছু না করার পরেও ডোমিঙ্গোকে আমরা বলির পাঠা বানাতে চাই। কিছু ক্রিকেটার কি আসলেই তার কথা শোনে? যারা তার কথা শোনে, আমি তাদের কথা শুনতে চাই। যারা কোচের কথা শোনে, তারা উন্নতি করছে। যদি ১৫জন ক্রিকেটারকে ডাকি, তাদের মধ্যে ১১জনই বলবে ডোমিঙ্গো অসাধারণ কোচ।’
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো এবং বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। তবে কিছু সিনিয়র ক্রিকেটারের কারণে মমিনুল বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন নাজমুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম দুই কোচ (ডোমিঙ্গো এবং ডোনাল্ড) টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন। পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে। কয়েকজন সিনিয়র ব্যাটার প্রথমে ব্যাট করতে চায়নি। সিনিয়রদের ওই সিদ্ধান্তই শুনেছে মমিনুল।’
ড্রেসিং রুমে ক্রিকেটারদের সাথে হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোর মধ্যে কিছুটা সমস্যা বিদ্যমান আছে বলেও স্বীকার করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। তিনি জানান, এ সমস্যা সমাধানে সবার সাথেই বসতে চান।
পাপন বলেন, ‘আমরা যদি এই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে না পারি, ভবিষ্যতের জন্য এটা বেশ খারাপ হবে। আমার মনে হয়, এ নিয়ে আমাদের সবার বসা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মাটিতে খেলাচালীন জানানো হয়েছিল, সব সমস্যার সমাধান হয়েছে। এখন দেখছি দেশের বাইরে গেলে এই সমস্যা বেড়ে যায়। আমাদের কোচ এবং ক্রিকেটারদের মধ্যে সমস্যার সমাধান করতে হবে।’
বিসিবি বস জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে দেশ ফিরলে কোচ এবং ক্রিকেটারদের সাথে বৈঠকে বসবেন তিনি। সেখানেই সব সমস্যার সমাধান হবে বলেও বিশ্বাস তার।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর