১০ নভেম্বর, ১৯৯৮, লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচের পর নিরাপত্তা ইস্যুতে দীর্ঘ দুই যুগে পাকিস্তানমুখী হয়নি অজিরা। সেই খরা কাটিয়ে ২০২২ সালে আবারও পাকিস্তানের মাটিতে পা রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। যেই লাহোরেই থেমেছিল, সেইখান থেকেই শুরু হবে নতুন যাত্রা।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দুই যুগ পর মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তান। নিরাপত্তা ইস্যুতে বারবার পাকিস্তান সফর বাতিল করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আর এ সময়ে নিরপেক্ষ ভেন্যু আর অজিদের মাটিতেই অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান।
অজিদের বিপক্ষে পাকিস্তানের রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। অজিদের বিপক্ষে ১০৪ দেখায় ৩২ জয়ের বিপরীতে হার ৬৮ টি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে রেকর্ড আরও বাজে। সর্বশেষ ১৬ দেখায় একবার জয় পেয়েছে পাকিস্তান। তাও কি-না ২০১৭ সালে। এর আগের জয় এসেছিল ২০১২ সালে। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ দুই জয় পেতে পাকিস্তানকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল পাঁচ বছর।
সর্বশেষ ৯ দেখায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কোনো জয় নেই পাকিস্তানের। বিপক্ষে থাকা এতো পরিসংখ্যানের পরও অজিদের বিপক্ষে সেরা পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ছাড়াই মাঠে নেমেছে পাকিস্তান।
লাহোরে প্রত্যাবর্তনের ম্যাচের আগে ইনজুরি আর করোনা ইস্যুতে টালমাটাল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া শিবির। তাই এই ম্যাচে দুই নতুন ক্রিকেটার নিয়ে মাঠে নামতে হয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের দলকে। অভিষিক্ত দুইজন ছিলেন স্পিনার মিচেল সোয়েপসন ও পেসার নাথান এলিস।
লাহোরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে লাহোরে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকায় খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই পাকিস্তান। অজিদের খারাপ অবস্থার সুবিধা নিয়ে পাকিস্তানের এগিয়ে যাওয়ার দূর্দান্ত এক সুযোগ।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর