বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এমন হারে দলের খেলোয়াড়দের উপর চটেছেন প্রধান কোচ ও সাবেক ক্রিকেটার মার্ক বাউচার। ব্যর্থতার ভয়ে দল আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে পারেনি। বরং ‘ঘুমিয়ে খেলেছে’ বলে সবাইকে এক হাত নিলেন প্রোটিয়া কিংবদন্তি।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাউচার ‘ঘুমিয়ে খেলেছে’ বাক্যাংশটি বেশ কয়েকবার পুনরাবৃত্তি করেন। বাংলাদেশের স্পিনের ভয়েই দক্ষিণ আফ্রিকা কাবু হয়ে গেছে বলে তার ধারণা। স্পিন খেলার প্রতি প্রোটিয়াদের বিশ্বাসের অভাব ছিল বলে মনে করেন তিনি।
তৃতীয় ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে প্রথম আঘাতটা করেন স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। পরের যেটা ধরে রাখেন সাকিব আল হাসান। মাঝে তাসকিন প্রোটিয়াদের মুড়ে দিলেও বাউচার বিশ্বাস করেন যে তারা মেহেদি এবং সাকিবকে ভালোভাবে খেলতে পারলে এই সিরিজটি জিততে পারতো।
বাউচার বলেন, ‘আজকে আমাদের উদ্দেশ্যের অভাব ছিল। খুব ভালো শুরু করার পর আমরা ঘুমিয়ে গেলাম। আমরা খেলাটা এগিয়ে নিতে পারিনি। তারা ভালো বোলিং করেছে কিন্তু স্কোর করার সুযোগ তৈরি করতে আপনাকে কিছু ঝুঁকি নিতে হবে। আমরা আউট হওয়ার ভয়ে সেটা করতে পারিনি।’
দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা যেভাবে খেলতে চাই তার প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে। আমরা শ্রীলঙ্কায় স্পিন ভালো খেলেছি। কিন্তু আমরা দক্ষিণ আফ্রিকায় এসেই পুরনো পদ্ধতিতে ফিরে গেলাম। আমর এখনও আলোচনা করছি। ছেলেদের বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করছি যে টার্নিং কন্ডিশনে স্পিন খেলার এটাই (আক্রমনাত্মক হয়ে) উপায়।’
বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হেরে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা নিয়ে টানাটানিতে পড়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ তাদের জন্য কিছুটা কঠিন হয়ে গেলো। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলের নয় নাম্বারে রয়েছে।
এ নিয়ে বাউচার বলেন, ‘সতর্কবার্তা সবসময়ই আছে। আমি অবশ্যই বিশ্বাস করি যে আমরা যদি আমাদের খেলার পরিকল্পনায় লেগে থাকি, আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে পৌঁছাতে পারি, তাহলে আমরা যে কাউকে হারাতে পারবো। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তা দেখিয়েছি।’
‘আমাদের ওয়ানডে দলটাও টি-টোয়েন্টির মতো একই। আমাদের অনেক কিছু নিয়ে কাজ করার আছে। আমরা আগেও ভারত, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছি। বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জনের জন্য তাদেরকে আবারও হারাতে হবে।’ - যোগ করেন বাউচার।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি