ক্রিকেট খেলায় ছয় বল হলেই এক ওভার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ওয়াইড কিংবা নো বল হলে বোলারদের করতে হয় বেশি বল। ওয়াইড কিংবা নো বল না হওয়ার পরও আম্পায়ারের ভুলে এক ওভারে সাত বল করেছেন পাকিস্তান নারী দলের পেসার ওমাইমা সোহেল। তাও কিনা বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে। বিষয়টি সে সময় সবার দৃষ্টি এড়িয়ে গেলেও ম্যাচ শেষে এই নিয়ে শুরু হয়েছে নানা সমালোচনা।
শুক্রবার (১১ মার্চ) নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইতে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তান। এ ম্যাচের ২৭তম ওভারে ঘটে এই কান্ড। এই ওভারে পাকিস্তানি পেসার ওমাইমা সোহেল এক ওভারে করেন সাত বল।
ওই ওভারের প্রথম বল থেকে কোনো রান আদায় করে নিতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার লাওরা উলভার্ট। তবে দ্বিতীয় বলে একটি বাউন্ডারি আদায় করে নেন এই ব্যাটার।
উমাইমা সোহেলের তৃতীয় বলে রান না নিলেও চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে নেন যথাক্রমে ২ এবং ১ রান। আর এতেই ষষ্ঠ বলে স্ট্রাইক পান প্রোটিয়া নারী দলের অধিনায়ক সুনে লুস। এই বলে কোনো লুস কোনো রান নিতে না পারলেও লিগ বিফোরের আবেদন করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের করা এই আবেদনে সাড়া দেয় আম্পায়ার। তবে আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সফল হলে বেঁচে যান অধিনায়ক সুনে লুস। তবে আম্পায়ার ভুলে গিয়েছিলেন এটাই ছিল ওভারের শেষ বল। এ কারণেই পেসার ওমাইমা সোহেলকে বল ফেরত দেন তিনি। আরও একটি বল করান। আর শেষ বল থেকে একরান আদায় করেন সুনে লুস।
অবাক করা বিষয় এই বল করার সময় কিংবা করার পরমুহূর্তেও থার্ড আম্পায়ার কিংবা কারও চোখে বিষয়টি ধরা পড়েনি। আর এতেই সাত বলে ২৭তম ওভার শেষ করেন ওমাইমা সোহেল।
দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পাকিস্তানের মধ্যকার এই ম্যাচ পরিচালনা করতে দাঁড়িয়েছিলেন জ্যামাকান আম্পায়ার জ্যাকলিন উইলিয়ামস এবং বাংলাদেশি আম্পয়ায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত। আম্পায়ারদের এই ভুলের পর এখনও আইসিসি এখনও নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়নি। এমনকি আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা সেটাও জানায়নি।
শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাকিস্তানের মেয়েরা। এটা ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের মেয়েদের টানা ১৭তম হার।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর