টেস্ট ক্রিকেটে অনিয়মিত হলেও ২০২২ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিন ফরম্যাটেই সাকিব আল হাসানকে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাকিবের খেলা না খেলা নিয়ে নানা সময় নানা রকম সমস্যা সৃষ্টি হলেও তাকে বাদ দিতে পারছে না বোর্ড। নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক জানালেন, সাকিব নিজে না চাইলে তাকে বাদ দেওয়া বোর্ডের জন্য কঠিন।
২০২২ সালের কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশের পর শুক্রবার (১১ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং নির্বাচক প্যানেলের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক। দলের সাথে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়া ছিলেন না আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিব অনিয়মিত থাকার পর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তিন ফরম্যাটে থাকার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে নির্বাচক রাজ্জাক বলেন, “সাকিবের ছয় মাসের জন্য যেটা বলা হচ্ছে (ছুটি) সেটা আসলে অফিসিয়াল কিছু নেই। আমরা জানি সাকিব সব ফরম্যাটের জন্য এভেলেবল রয়েছে।”
Bangladesh Cricket Board (BCB) announces the National Players’ Contract for the period of January to December 2022 ..#BCB #sportsmail24 @BCBtigers pic.twitter.com/bwNNtUJuyS
— Sportsmail24.com (@sportsmail24) March 10, 2022
তিনি আরও বলেন, “তিন ফরম্যাটে রাখার সিস্টেমটা এ রকম না যে, কেউ যদি দুটা সিরিজ রেস্ট নেয় তাকে যে তিন ফরম্যাটে রাখা যাবে না সেটা না। তিন ফরম্যাটের সিস্টেমটা হচ্ছে- ক্রিকেট বোর্ড কিন্তু কথা বলেছে যে, কে কে কোন ফরম্যাট খেলবে। তারপর ক্রিকেট বোর্ড একটা সিদ্ধন্ত নিয়েছে যে, আমরা এই এই ফরম্যাটে কন্সিডার করতে পারবো।”
সাকিবের বিষয়ে নির্বাচক রাজ্জাক বলেন, “সাকিব কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন ফরম্যাট থেকে সরে (অবসর) যায়নি। সাকিব যদি কোন ফরম্যাট থেকে সরে না যায়, তাহলে ক্রিকেট বোর্ড থেকে সরিয়ে দেওয়া (চুক্তিতে না রাখা) কঠিন। সে যে টাইপের পারফর্ম করে।”
সাকিব বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হলেও নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তির পর জাতীয় দলের খেলা অনিয়মিত। ২০২১ সালের শুরু থেকে ২০২২ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ ৯টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যেখানে সাকিব আল হাসান খেলেছেন মাত্র ৩টি টেস্টে। বাকি ৬টি টেস্টে তাকে পায়নি বাংলাদেশ।
সাকিবের এমন অনিয়মিত খেলায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নাখোশ। বিশ্বকাপ প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলে নিউজিল্যান্ড সিরিজ বাদ দিয়ে আইপিএলে অংশ পাপন বলেছিলেন, “সাকিবের বেস্ট খেলোয়াড় হয়ে লাভ কী, না খেলে।”
সাকিবের এমন সরে যাওয়া নির্বাচকদের জন্য কষ্টের বলে জানালেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি বলেন, “অবশ্যই (খারাপ লাগে), দলের একটা প্ল্যান থাকে, হঠাৎ খেলতে না চাওয়ায় একটা ব্যাকফায়ার হয়। তবে কেউ খেলতে না চাইলে তো জোর করে খেলানো যাবে না। না থাকলে বাদ দিয়েই সেরাটা নিতে হবে।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস