সাকিব আল হাসান কি টেস্ট খেলবেন? প্রতিটা সিরিজ শুরুর আগেই এই নিয়ে হয় অনেক জলঘোলা। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের আগেও ছিল না এর ব্যতিক্রম। শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সাকিব। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এই কারণ দেখিয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটিও নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
টেস্টের প্রতি অনাগ্রহ থাকার পরও বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) প্রকাশিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সাকিবকে তিন ফরম্যাটেই রেখেছে। টেস্টের প্রতি অনাগ্রহ থাকার পর কেন তাকে তিন ফরম্যাটেই চুক্তিবদ্ধ করা হলো? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
শুক্রবার (১১ মার্চ) মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বলেন, ‘তিন ফরম্যাটে ২০২২ সালে প্রচুর খেলা আছে ডিসেম্বর পর্যন্ত। অনেক খেলোয়াড় লাগবে। সেরা খেলোয়াড়কে (সাকিব) তিন ফরম্যাটেই চাই। সেই চিন্তা করেই কিন্তু তাকে রাখা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের চুক্তির মেয়াদ ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ে হওয়া সবগুলো সিরিজেই সাকিবকে পাওয়ার আশা করেন প্রধান নির্বাচক।
সাকিবকে তিন ফরম্যাটে রাখা হলেও এখনও তার সাথে আলোচনায় বসতে পারেননি নির্বাচকরা। তবে সময়মত সাকিবের সাথে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
নান্নু বলেন, ‘ও এখন বিদেশে আছে, (গত) কালকে আসার কথা। আসলে অবশ্যই কথা হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে সিরিজগুলো বেশ বেছে বেছে খেলেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। যদিও এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ধরনের বক্তব্য দেননি এই অলরাউন্ডার। এ কারণেই সাকিব যে সিরিজেই থাকুক না কেন, সেখানেই তার সেরা পারফর্মেন্সটাই পেতে চান প্রধান নির্বাচক।
বলেন, ‘খেলোয়াড় হিসেবে ও অনেক বড় মাপের। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ও যখনই খেলুক ওর কাছে আমরা সেরাটাই চাই।’
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের পর ঘরের মাঠে দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্টের জন্য শ্রীলঙ্কাকে নিজেদের ঘরের মাঠে আতিথ্য দিবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজে সাকিব খেলবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে নির্বাচকরা জানিয়েছে, তারা সাকিবকে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচকের ভাষ্য, ‘বোর্ড ওকে (সাকিব) ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রেস্ট দিয়েছে। সাউথ আফ্রিকা সিরিজে। তারপর থেকে ও অ্যাভেইলঅ্যাবল আছে। আমাদের কাছে যে ইনফরমেশন আছে। তাতে ও অ্যাভেইলঅ্যাবল আছে।’
চলতি বছর নিউজিল্যান্ড সফরে আগেও দল ঘোষণার পর নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজের আগেও একই কান্ড ঘটিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। এতে নির্বাচকদের মন খারাপ হয় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে নান্নু বলেন, ‘অবশ্যই। একটা প্ল্যান করে কিন্তু সিরিজের জন্য দল দেওয়া হয়। তখন খেলতে না চাওয়াটা একটা ব্যাকফায়ার হয়। কেউ খেলতে না চাইলে তো জোর করে খেলানো যাবে না। না থাকলে বাদ দিয়েই সেরাটা নিতে হবে।’
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর