ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মাঝে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বোলারদের মূল লক্ষ্য থাকেই ব্যাটারদের ‘ডট বল’ খেলানোর। রান না দিয়ে ব্যাটারদের চাপেপেলে উইকেট তুলে নেওয়া। তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজ জানালেন ভিন্ন তথ্য। বলেন, “মাঝে মাঝে ডট বল খেলাও খারাপ কিছু না। এটাও গেম প্লানিংয়ের একটি অংশ।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ‘ডট বল’ খেলা দৃশ্য সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ভুগতে হয়েছে ‘ডট বল’ কারণে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৪৬টি ডট বল খেলেছিল টাইগাররা। শুধু তাই নয়, ওমানের মতো দলের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচেও ৪০টি ডট বল খেলেছিল বাংলাদেশ। যার মধ্যে ইনিংসের প্রথম ৫টি বলই ছিল ‘ডট’।
ঘরের মাঠে আফগানিস্তনের বিপক্ষে চলমান সিরিজেও আলোচনায় ছিল ডট বল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ বল বাকি থাকতে জয় তুলে নিলেও ২১৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ ডট বল খেলেছে অর্ধেকেরও বেশি, ২৯৩টি খেলা বলের মাঝে ১৭৭টি ডট বল খেলেছে বাংলাদেশের ব্যাটাররা।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও একই অবস্থা দেখা গেছে। প্রথমে ব্যাট করে পুরো ৩শ বল খেলা বাংলাদেশ ডট বল খেলেছে ১৪৬টি। বাকি ১৫৪ বল থেকে স্কোর বোর্ডে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩০৬ রান। অর্থাৎ, প্রতি বলে গড়ে প্রায় ২ রান (১.৯৯) করে নিয়েছে টাইগার ব্যাটাররা।
ছুটে যাওয়া ডট বলগুলো খেলতে পারলে অনায়াসে আরও বড় সংগ্রহ গড়তে পারবে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের কাছে এ বিষয়ে জানাতে চাওয়া হলে বলেন, ব্যাটারদের ডট বল খেলাও খারাপ কিছু না। এটাও গেম প্লানিংয়ের একটি অংশ।
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, “ওয়ানডে ক্রিকেটে ডট বল হবেই। উইকেটটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। একটা জিনিস দেখেন, পার্টনারশিপ করতে গেলে কিছুটা… একি স্টাইলে খেললে কিন্তু ডিফিকাল্ট, উইকেট পড়ে যায়। অনেক সময় খেলাটাকেও একটু স্লো করতে হয়, অনেক সময় একটু অ্যাটাকিং মুডে খেলতে হয়। এটা গেম প্লানিংয়ের ভেতরেই থাকে।”
মিরাজ বলেন, “আমরা যদি একি ধাচে খেলি তাহলে কিন্তু ডিফিকাল্ট। সব সময় যদি রানের জন্য খেলেন, তখন উইকেট হারানো চান্স থাকে। উইকেট পড়ে গেলে টিম অনেকটা চাপে থাকে। তো মাঝে মাঝে ডট বল হওয়া -এটা আসলে খারাপ কিছু না। এটা আসলে পজিটিভ সাইন।”
‘ডট বল’ খেলার পজিটিভ দিকের ব্যাখ্যা দিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, “আমি মনে করি, এটা (ডট বল) পার্টনারশিপও বিল্ডআপ করে। যখন ভালো একটা পার্টনারশিপ গড়ে উঠে তখন কনফিডেন্সটাও ভালো হয়। উইকেট থাকলে পরের দিকের ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাটিং করতে পারে। সর্বশেষ ম্যাচে কিন্তু লিটন-মুশফিক ভাই সেই প্লানেই খেলেছেন। সে সময় উইকেট পড়ে গেলে ভালো হতো না।”
তিনি আরও বলেন, “সো এটাই আমি মনে করি যে, ডট বল খেলাটা অত বেশি ‘ই’ (খারাপ) না। চেষ্টা থাকা এবং পার্টনারশিপ হওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
আফগানিস্তাসের বিপক্ষে ইতিমধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। তবে সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ হওয়ায় শেষ ম্যাচটিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেষ ম্যাচের আগে মিরিজ বলেন, “সিরিজ জেতার চেয়ে গুরুত্বপূ্র্ণ হচ্ছে ১০ পয়েন্ট। বিশ্বকাপে কিন্তু টপ আটটা দলই কোয়ালিফাই হবে। সিরিজ জিতেছি খুব ভালো কথা। আমাদের পরবর্তী টার্গেট একটা ম্যাচ জিতে ১০ পয়েন্ট নেওয়া।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]