দীর্ঘ সাত মাস পর আবারও ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানকে আতিথ্য দিবে তামিম বাহিনী। সিরিজের শুরুতেই হোয়াইটওয়াশ নিয়ে ভাবতে চান না অধিনায়ক তামিম। বরং ম্যাচ বাই ম্যাচ আগাতে চান তিনি।
সিরিজের শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তামিম। সেখানেই জানান, এখনও হোয়াইটওয়াশ নিয়ে ভাবছেন না তিনি। বরং ম্যাচ বাই ম্যাচ পরিকল্পনা করে আগাতে চান।
তামিম বলেন, ‘৩-০তে জেতার বিষয়ে বলবো, আমার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা আগামীকাল শুরুটা কেমন করি। ৩-০ অনেক দূরের ব্যাপার। আমরা কালকের ম্যাচটা কেমন শুরু করি, কেমন শেষ করি সেটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।’
ম্যাচ প্রতি পরিকল্পনা করলেও আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করার স্বপ্ন দূরে সরিয়ে দেননি অধিনায়ক তামিম। আফগানদের হোয়াইট ওয়াশ করার স্বপ্নও দেখছেন তিনি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ঐ পরিস্থিতিতে থাকি, তাহলে কেনো নয়? এটা কে চাইবে না? প্রতিপক্ষকে জিজ্ঞেস করলেও একই কথা বলবে। অধিনায়ক হিসেবে আমিও এটাই করতে চাইবো। তবে দূরেরটা চিন্তা না করে আমার মনে হয় ধাপে ধাপে এগুনোই ঠিক হবে।’
দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে ক্রিকেটে শুরুটা ভালো করতে চান তামিম। বলেন, ‘জুন-জুলাইতে আমরা শেষ ওয়ানডে খেলছিলাম। বেশ ছয়-সাত মাস পর আসছি। এক্সসাইটেড সবাই। সন্দেহাতীতভাবে এটা আমাদের প্রিয় ফরম্যাট। এই বছর অনেক ওয়ানডে আছে। কালকের ম্যাচের দিকে ফোকাস করতে চাই।’
সর্বশেষ ২০২১ সালে ওয়ানডের চেয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেশি মনোযোগী ছিল বাংলাদেশ দল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে ওয়ানডে সংস্করণে খেলতে খুব বেশি অসুবিধায় পড়তে হবে বলে মনে করেন না অধিনায়ক তামিম।
তিনি বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ কিছু না। কম বেশি সবাই তো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নরমালি সবাই টি-টোয়েন্টি খেলেছি। ওদের সাথে ওয়ানডে দিয়ে শুরু করাটা সঠিক সিদ্ধান্ত। আমার মনে হয় ওয়ানডেতে আমরা ভালো দল। রিদমে ফেরাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবাই খেলার মধ্যে আছে। এটা পজেটিভ দিক। সবাই নিজেদের ভালোটা খেলছে। আমরা সবাই একসাথে পারফর্ম করতে পারলে ভালো হবে।’
আফগানিস্তানের স্পিন জুজুতে ভীত হতে চান না অধিনায়ক তামিম। বরং রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী এবং মুজিব উর রহমানকে আগে খেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান তিনি।
আফগানদের এই স্পিনারকে নিয়ে তামিমের ভাষ্য, ‘ওই তিন বোলারকে নিয়ে চাপ তৈরি হয় না। আমাদের ওদের সবাইকে নিয়ে ভাবতে হয়। আমি বলছি না ওরা কোয়ালিটিলেস। তবে সবাইকে নিয়েই ভাবতে হয়। আমরা ডেঞ্জার জোন তারপর কিভাবে অ্যাপ্রোচ করবো সেটা নিয়ে কথা বলছি। আমি এখানে বসে যত কথাই বলি না কেন, মাঠে কিছু না করতে পারলে সব বৃথা। তাই আমাদের কাজ করতে হবে। আর আমরা এই কাজ করতে পারবো। কারণ আমরা আগেও এই কাজ করেছি।’
এছাড়াও বাংলাদেশের ওয়ানডে ব্যাটিং লাইন আপে তিন এবং পাঁচ নম্বর পজিশন নিয়ে বারবারই থাকে বিভিন্ন আলোচনা। তবে এইবার তিন নম্বর পজিশন নিয়ে চিন্তা করতে নারাজ অধিনায়ক। এ পজিশনে সাকিবকেই খেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বলেন, ‘নাম্বার ত্রি-র কথা যেটা বললেন, লাস্ট ছয়টা ওয়ানডেতে একজনই কিন্তু ব্যাটিং করেছে। নাম্বার তিন নিয়ে আমি চিন্তা করছি না।’
এদিকে ওয়ানডে দলে প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন ইয়াসির আলি রাব্বি এবং মাহমুদুল হাসান জয়। এই দু’জনকে পাঁচ নম্বর পজিশনের বিবেচনাতেই নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, দু’জনের যেই একাদশে খেলুক না কেন তারা পাঁচ নম্বর পজিশনেই ব্যাট করবেন।
তামিম বলেন, ‘পাঁচ নিয়ে নিয়ে একটু কনসার্ন। এখনও আমরা পিন করতে পারি নাই। এখানে ইয়াসিরকে নেওয়া হয়েছে প্লাস জয়কেও নেওয়া হয়েছে। আমরা যদি পাঁচ নম্বরে ভালো পারফর্ম করছে এমন কাউকে পেতাম তাহলে বেশ ভালো হতো। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মাঝে আপনার দ্রুত রান তুলতে হবে বা মাঝে মাঝে ইনিংস হোল্ড করতে হবে।’
চট্টগ্রামা আফগানিস্তান সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ দলের সাথে দ্বিতীয় দফায় কাজ শুরু করেছেন কোচ জেমি সিডন্স। তাকে নিয়েও আশাবাদী অধিনায়ক। তার মতে তরুণরা জেমি সিডন্সের কাছ থেকে বেশ উপকৃত হবে।
তামিমের মতে, ‘জেমি বাংলাদেশের জন্য বড় ইমপ্যাক্ট রাখতে পারবে। তবে এই সময়টা ওর জন্য কঠিন। আমরা সিরিজের মধ্যে আছি। কম বেশি চেষ্টা করতেছে ওর মতো করে। আমি শিওর ইয়ং প্লেয়াররা ওর থেকে অনেক উপকার পাবে।’
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]