শিরোপার লড়াইয়ে কুমিল্লা-বরিশাল

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ  প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসরের ফাইনাল নিজেদের  আধিপত্য বজায়ে রাখতে বদ্ধপরিকর ফরচুন বরিশাল। 

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় টুর্নামেন্টের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোকাবেলা  করবে  ফরচুন বরিশাল। 

বিপিএল অষ্টম আসরে সবচেয়ে সফল দল ফরচুন বরিশাল । গ্রুপ পর্বে ১০ ম্যাচের সাত জয়ের পাশাপাশি হার দুইটিতে। বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে একটি ম্যাচ। এরপর প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লাকে ১০ রানে হারিয়ে সরাসরি ফাইনালের টিকিট কাটে বরিশাল। 

গ্রুপ পর্বে বরিশালের দু’টি হারের একটি ছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের কাছে। টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে সে ম্যাচে সাকিবের বরিশালকে ৬৩ রানে হারিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। 

বিপিএলের সিলেট পর্বে অবশ্য কুমিল্লাকে ৩২ রানে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিয়েছিল ফরচুন বরিশাল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লার বিপক্ষে জয়সহ তাদের এই জয়ের ধারা সাত-এ পৌঁছায়।

টুর্নামেন্টে কুমিল্লার বিপক্ষে তিনবারের লড়াইয়ে এগিয়ে বরিশালই। তাই ফাইনালেও এগিয়ে থাকার পাশাপাশি এই আধিপত্য বজায় রাখতে মরিয়া  বরিশাল।

ফাইনালের আগেরদিন বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বরিশালের উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘আমরা ভালো ছন্দে রয়েছি এবং এক টানা কিছু ম্যাচ জিতেছি। তাই  আমরা জয় দিয়েই টুর্নামেন্ট  শেষ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘কুমিল্লা ভারসাম্যপূর্ণ দল এবং পুরো টুর্নামেন্টে ভালো ক্রিকেট খেলেছে। আমার বিশ্বাস যারা ফাইনালে ভালো খেলবে, তারাই ট্রফি জিতবে। এতদিন আমরা ইউনিট হিসেবে খেলেছি। আমরা ফাইনালেও সেরাটা দিতে চাই।’

তৃতীয়বারের মতো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইমরুল কায়েস। তার অধিনায়কত্বে কুমিল্লা শেষবার ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত  বিপিএল ট্রফি জিতেছিল। 

ইমরুল নিজেদের ট্রফি জয়ের সামর্থ্যের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা দু’বার ফাইনালে ট্রফি জিতেছে। আশা করছি আমরা আবার ট্রফি জিতবো। বরিশালের বিপক্ষে কোয়ালিফায়ারে হারের পর আমরা হতাশ হয়েছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ঘুড়ে দাঁড়ানোর পর আমরা আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছি।’

শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে কুমিল্লা জয়টি আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে বলে মনে করেন কুমিল্লার অধিনায়ক। 

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সুনীল নারাইনের ১৬ বলে ৫৭ রানের নান্দনিক ইনিংস ভর করে সহজ জয় পায় দলটি। এ ম্যাচে মাত্র ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন এই ক্যারিবিয়ান তারকা। এটি ছিলে বিপিএলের ইতিহাসের দ্রুততম এবং টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি।

ইমরুল আরও বলেন, ‘যারা স্নায়ু চাপ কাটিয়ে উঠতে পারবে এবং বড় চ্যালেঞ্জ নিতে পারবে, তারাই ট্রফি জিতবে। আমার মনে হয়, যোগ্য দু’টি দলই ফাইনাল খেলছে। দুই দলেই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় ভরপুর। আমাদের দলে নারাইন, ফাফ ডু প্লেসিস এবং মঈন আলির মতো ক্রিকেটাররা আছে। নারাইন কি করতে পারে, তা সবাই দেখেছে। ফাফ এবং মঈনও তাদের দিনে যে কোনো বোলিং লাইন আপকে তছনছ করে দিতে  পারে।’

স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর

[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]