কাতারে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে আফগানিস্তানে বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল নেদারল্যান্ডস। সিরিজ প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিল ডাচদের। এ কারণেই হয়তো তৃতীয় ম্যাচ জয়ের জন্য মরিয়া ছিল নেদারল্যান্ডস। এ কারণে বল টেম্পারিংয়ের মতো ন্যক্করজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা। তবে এ ঘটনা ঘটিয়ে রেহাই পায়নি নেদারল্যান্ডস। ম্যাচ চলাকালীন আম্পায়ারদের নজরে পড়ায় শাস্তির মুখোমুখি হয়েছে তারা।
আফগানিস্তানের বোলিংয়ের ৩১তম ওভারে বোলিং করতে আসেন ব্রেন্ডন গ্লোভার। সেই ওভারে ফিল্ডিংয়ের সময় বল টেম্পারিং করে নেদারল্যান্ডসের ক্রিকেটাররা। এ ঘটনার পর ৩১তম ওভারের ৫ম বলের পর বল পরিবর্তন করেন আম্পায়ার।
এ ঘটনার পর আফগানিস্তানের স্কোর বোর্ডে পাঁচ রান যুক্ত করে দেন ম্যাচ পরিচালনাকারী দুই আম্পায়ার আহমেদ শাহ দুররানী এবং আহমেদ শাহ পাকতিন। মূলত নেদারল্যান্ডস বল টেম্পারিং করায় এর শাস্তি স্বরুপ এই পেনাল্টি দেন আম্পায়াররা।
ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নিয়ম অনুযায়ী বল টেম্পারিং করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তি দিতে পারেন ম্যাচ পরিচালনাকারী আম্পায়াররা। এ নিয়মেই নেদারল্যান্ডসকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও বল টেম্পারিং করা হলে আম্পায়ার বলও পরিবর্তন করতে পারেন। এ জন্য অবশ্য প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়কের সম্মতির দরকার হয়। তবে অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে উইকেটে থাকা দুই ব্যাটারের সম্মতিতেও বল পরিবর্তন করতে পারেন আম্পায়াররা।
এ ঘটনার আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় ডাচরা। এই হারে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে নেদারল্যান্ডস।
এর আগে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৩৬ এবং ৪৮ রানে হেরেছিল নেদারল্যান্ডস। সিরিজের তিন ম্যাচ জিতেই ওয়ানডে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে আছে আফগানিস্তান।
ক্রিকেট মাঠে বল টেম্পারিংয়ের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০১৮ সালে বল টেম্পারিংয়ের সাথে জড়িত হওয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথ এবং ক্যামেরুন ব্যানক্রাফট। এছাড়াও বল টেম্পারিংয়ের সাথে শচীন টেন্ডুলকার, শহীদ আফ্রিদির মতো ক্রিকেটারও জড়িত হয়েছিলেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]