অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। তবে চলতি আসরে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি টাইগারদের। প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ড যুবাদের বিপক্ষে হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। শুরুর এই পরাজয়ের পরও মনোবল হারায়নি রাকিবুল হাসানের দল। ঘুরে দাঁড়িয়েছে দ্বিতীয় ম্যাচেই। কানাডার বিপক্ষে জয় পেয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এই জয়ে বেঁচে রইলো সুপার লিগ খেলার আশা।
সেন্ট কিটসের কোনারি স্পোর্টস ক্লাব টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কানাডার অধিনায়ক মিহির প্যাটেল। শুরুটা অবশ্য ভালোই করেছিল কানাডা। পাওয়ার প্লে’র প্রথম ১০ ওভারে নিরাপদেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন কানাডার দুই ওপেনার জাশ শাহ ও অনুপ চিমা। প্রথম দশ ওভারে দু’জন মিলে তুলেন ৩৪ রান।
পাওয়ার প্লে’র পরপরই ধ্বস নামে কানাডার ইনিংসে। ২৭ বলে ৮ রান করে জাশ প্যাভিলিয়নে ফিরতেই শুরু হত বাকি ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলেও এক প্রান্ত আগলে পড়ে ছিলেন অনুপ।
ইনিংসের ৪১তম ওভারে রিপন মন্ডলের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে খেলে যান ১১৭ বলে ৬১ রানের ইনিংস। অনুপ আউট হতেই ৪৪ ওভার ৩ বলে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় কানাডার ইনিংস।
কানাডার বাকি ব্যাটারদের মধ্যে উল্লেখ করার মত রান করেন অধিনায়ক মিহির প্যাটেল (১১) এবং মোহিত প্রসার (১২)। বাংলাদেশের পক্ষে সমান চারটি করে উইকেট নেন মেহরাব হাসান ও রিপন মন্ডল। বাকি ২ উইকেট দখল করেন আশিকুর জামান।
১৩৭ রানের লক্ষ্য খেলতে নেমে শুরুটা দারুণ করেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার মাহফিজুল ইসলাম ও ইফতিখার হোসেন। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মাহফিজুল ১২ রান করে ফিরে যান। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে প্রান্তিক নওরোজ নাবিলকে নিয়ে ৭৬ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভীত গড়ে দেন ইফতিখার।
৩৩ রান করে নাবিলও বিদায় নিলে আইচ মোল্লাকে নিয়ে বাকি পথটা নিরাপদে পাড়ি দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে ৬১ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন ইফতিখার। আইচ অপরাজিত ছিলেন ২০ রানে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]