স্পোর্টসমেইল২৪
ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। দুই বছর বিরতির পর শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) থেকে মাঠে গড়াবে এ টুর্নামেন্ট। ছয় দলকে নিয়ে মাঠে গড়াবে এবারের টুর্নামেন্ট। বিপিএল দিয়ে উন্মাদনায় মেতে উঠবে দেশের ক্রিকেট।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এবং ফরচুন বরিশালের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে দুপুর দেড়টায় পর্দা উঠবে টুর্নামেন্টের অষ্টম আসরের। দিনের অন্য ম্যাচে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খেলবে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা ও খুলনা টাইগার্স।
দু’টি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রতিদিন দু’টি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। মিরপুর ছাড়াও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচ।
কোভিড-১৯ এর কারণে গত দুই বছর টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারেনি বিসিবি। এই বছরও টুর্নামেন্টটি করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু কোভিড-১৯ এর হুমকির মধ্যে টুর্নামেন্ট এবং আন্তর্জাতিক সিরিজ পরিচালনার জন্য যথেষ্ট অভিজ্ঞ থাকায় কোন সমস্যা ছাড়াই বিপিএল শেষ করতে আত্মবিশ্বাসী বিসিবি।
ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজির খেলোয়াড়, সাপোর্ট স্টাফ এবং অন্যান্য স্টোকহোল্ডাররা বায়ো-বাবলে প্রবেশ করার আগে, বিসিবি মেডিকেল টিম ঘন ঘন পরীক্ষা করেছে। কিছু খেলোয়াড় এবং কর্মকর্তাদের কোভিড পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। তাদের আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে। যেকোনও ঝুঁকি এড়াতে মেডিকেল টিম ঘন ঘন পরীক্ষা চালিয়ে যাবে।
বিপিএলের অষ্টম আসরে টাইটেল স্পনসর বিবিএস ক্যাবলস এবং পাওয়ার বাই হিসেবে থাকছে ওয়ালটন। ২৭ দিনের টুর্নামেন্টে প্লে অফ ও ফাইনালসহ মোট ৩৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি থাকবে ১ কোটি টাকা এবং রানার্স আপ পাবে ৫০ লাখ টাকা।
যদিও পিএসএলের একই সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিপিএল। তবে পিএসএলকে বাদ দিয়ে আন্দ্রে রাসেল, ফাফ ড-প্লেসিস, মঈন আলি, সুনীল নারাইন, ডোয়াইন ব্রাভো, ক্রিস গেইল এবং আরও কিছু তারকা বিদেশি ক্রিকেটার বিপিএলে এসেছেন।
এত কিছুর মধ্যেও রয়েছে কিছু ত্রুটি। যার মধ্যে ডিআরএস না থাকাটা প্রধান। তবে খেলোয়াড় কিংবা কর্মকর্তারা কেউই অন্তত প্রকাশ্যে নিজেদের উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।
দেশে করোনাভাইরাসের উর্ধ্ব গতির সংক্রমণ বিবেচনায় ফাঁকা গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিপিএল।
বিপিএল গর্ভনিং বডির সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছেন, এই বিপিএলের পর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করবেন তারা।
তিনি বলেন, ‘পরবর্তী বিপিএলটি সঠিকভাবে হবে, কারণ আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করবো, যাতে তারাও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে এখানে আসতে পারে।’
এদিকে বিপিএলের সবগুলো দলই এবারের আসরে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী।
ম্যাচের আগের দিন মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ছন্দে থাকাটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই উদ্বোধনী ম্যাচে ভালো শুরু করতে চাই।’
দল হিসেবে খেলতে চান ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, ‘কোন চাপ নেই। যদিও আমরা জানি যে, ছয়টি দলের সকলেই শক্তির দিক থেকে সমান। আমরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে একটি ইউনিট হিসাবে খেলতে চাই।’
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ জানিয়েছেন, বুদ্ধিমত্তার সাথে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলাতে চান তিনি।
মিরাজ বলেন, ‘আমাদের একটি ভারসাম্যপূর্ণ দল আছে এবং আমি আশা করি আমরা একটি কাঙ্খিত ফলাফল পাবো। একজন অধিনায়ক হিসাবে আমি একটি উদাহরণ তৈরি করতে চাই।’
সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়ার লক্ষ্য খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের। তিনি বলেন, ‘গত বছর, আমরা শিরোপা জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি। এ বছর আমরা অধরা ট্রফিটি পাবার চেষ্টা করবো। আশা করি আমরা পারবো এবং টুর্নামেন্টটিকে আমাদের জন্য স্মরণীয় করতে পারবো।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]
