খেলায় কাউকে স্লেজিং করা বা ইমপ্রেস করা মোটেও পছন্দ করেন না অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের। নিজের মতো হওয়াটাই উত্তম বলে মনে করেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডের ইয়ান মরগানের দৃষ্টিভঙ্গিকেই পছন্দ কামিন্সের।
অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের সদস্য হিসেবে অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছেন কামিন্স। ২০১১ সালে অভিষেকের পর ৩৭টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ২০১১ থেকে রঙ্গিন পোশাকেও খেলছেন তিনি। ৬৯টি ওয়ানডে ও ৩৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কামিন্স। তবে অধিনায়ক হিসেবেই একেবারেই আনকোড়া কামিন্স।
চলমান অ্যাশেজ সিরিজেই প্রথম অধিনায়কের দায়িত্ব পান তিনি। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই বাজিমাত করেছেন কামিন্স। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে কামিন্সের নেতৃত্বাধীন দলটি।
প্রথম তিন টেস্ট দাপট দেখিয়ে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ টেস্ট ড্র হয়। তাই পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে অসিরা। করোনা ব্যক্তির সংর্স্পশে আসায় দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি কামিন্স।
অতীত ইতিহাস বলছে, ব্যাট-বল ছাড়াও কথার লড়াইয়ে অ্যাশেজে অনেক উত্তেজনা দেখা যায়। কোন দলই কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তবে এবারের অ্যাশেজে সেটি একেবারেই নেই। শুধুমাত্র অ্যাশেজেই নয়, অন্য সিরিজগুলোতেও অস্ট্রেলিয়ার স্লেজিং-কথার লড়াই বেশি চোখে পড়েছে। তবে এবার সেটি দেখা যাচ্ছে না। কারণ দলের খেলোয়াড়দের এসব থেকে বিরত থাকতে বলেছেন কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ড কামিন্স বলেছেন, ‘আপনাকে এটা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এই তো বছর কয়েক আগে বিশ্ব চাইত সব ক্রিকেট দলগুলো, বিশেষ করে অজি ক্রিকেট টিম স্লেজিং কমিয়ে দিক। আমি আমাদের সব খেলোয়াড়কে তাদের মতো হতে উৎসাহিত করেছি। তাদের কাউকে স্লেজ বা ইমপ্রেস করার দরকার নেই। কারণ অতীতেও হয়তো এরকম কিছু ছিল। তারা যেন শুধু তাদের মতো হয়।’
অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডের মরগানের নেতৃত্বকে অনুসরণ করেন কামিন্স। আইপিএলের কারণে মরগানের সাথে খেলার সুযোগ হয় কামিন্সের। সেখান থেকে মরগানকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন কামিন্স।
তিনি বলেন, ‘আমি ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়কদের লক্ষ্য করি এবং মরগানের মতো কাউকে। নেতৃত্বে তার দৃষ্টিভঙ্গি আমি পছন্দ করি এবং সে যেভাবে দলকে একত্রিত করেছে। গত কয়েক বছর ধরে আইপিএলে আমি তার সাথে কাজ করেছি এবং জীবন নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটা একই।’
সিরিজে দলের খেলোয়াড়দের আচরণে বেশ গর্বিত কামিন্স। বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এ পর্যন্ত সিরিজের টেস্টগুলো ঝামেলা ছাড়া কেটেছে। যদি আমি চাইতাম কেউ স্লেজিং করুক, তাহলে আমি পারতাম, কিন্তু এখানে সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক। তারা বাইরে থেকে স্পষ্ট শুনেছে অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের ও ক্রিকেট ভক্তদের কাছ থেকে প্রত্যাশা কী। আমি সব কৃতিত্ব নিচ্ছি না, ছেলেরাও চমৎকার ছিল।’
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]