ইন্ডিপেন্ডন্স কাপে বিসিবি নর্থ জোনকে ২৮ রানে হারিয়েছে ওয়ালটন সেন্ট্রাল জোন। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনের অলরাউন্ড পারফর্মেন্সে জয় পেয়েছে সেন্ট্রাল জোন। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন মোসাদ্দেক।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে সেন্ট্রাল জোন। তবে শুরুটা ভালো হয়নি। শুরুতেই ফিরে যান সেন্ট্রাল জোনের ওপেনার মিজানুর রহমান। অবশ্য সে প্রভাব পড়তে দেননি আব্দুল মজিদ এবং সৌম্য সরকার। দুইজন মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৭ রান তোলেন। এরপর অবশ্য প্যাভিলিয়নে ফেরেন সৌম্য সরকার। ৬০ বলে ৪০ রান করে সানজামুলের বলে ফেরেন তিনি।
এরপর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি আব্দুল মজিদও। ৯৬ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন তিনি। তাকে প্যাভিলিয়েন ফেরান শফিকুল ইসলাম।
বিধ্বংসী হয়ে ওঠার আগে সাকিব আল হাসানকে নিজের শিকারে পরিণত করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের বলে যুব বিশ্বকাপজয়ী কাপ্তান আকবর আলির স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন সাকিব। আর এতেই ১৫৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে সেন্ট্রাল জোন।
এরপর অবশ্য দলের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত এবং আল আমিন জুনিয়র। অর্ধশতক তুলে নিয়ে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক। আল আমিন জুনিয়র ৩২ বলে করেন ৪৩ রান। এতেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৬২ রানের সংগ্রহ পায় সেন্ট্রাল জোন।
২৬৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমেই শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তানজিদ হাসান তামিম। অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে লক্ষ্য তাড়া করার আশা জাগিয়েছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন এবং নাঈম ইসলাম। তবে ৬১ বলে ৩০ রান করে ফেরেন পারভেজ। এর পরে পরেই ফিরে যান অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব।
নাঈম ইসলাম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কল্যাণে ৬৭ রানের জুটি পায় নর্থ জোন। এর পর কোনো জুটিই উইকেটে থিতু হতে পারেননি।
সেন্ট্রাল জোনের বোলিং তোপে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে নর্থ জোন। সেন্ট্রাল জোনের হয়ে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী তিনটি, সৌম্য-মোসাদ্দেক দুইটি করে উইকেট শিকার করেন। ব্যাটিং এবং বোলিং দুই বিভাগেই অবদান রেখে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন সেন্ট্রাল জোনের মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]