টেস্ট ক্রিকেট থেকে হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা নিয়েছেন দক্ষিন আফ্রিকার উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শেষে এক বিবৃতিতে ডি কক জানান, পরিবারকে সময় দিতেই চিরতরে সাদা পোশাক তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
কুইন্টন ডি ককের এই হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে চারদিকে চলছে আলোচনা সমালোচনা। অনেকে ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেননি। সে তালিকায় এবার যুক্ত হলেন তারই সতীর্থ এবং দক্ষিন আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়ক ডিন এলগার। ডি ককের সিদ্ধান্তে যারযাপনাই হতবাক এলগার। একই সঙ্গে হতাশ এবং বিস্মিতও!
এলগার বলেন, ‘আমি বেশ হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি জানতাম না যে আসলেই এটা ঘটতে চলেছে। সেই সন্ধ্যায় (অবসরের) কুইনির সাথে বসেছিলাম। সে আমাকে কারণ ব্যাখ্যা করেছিল। আমি তার সিদ্ধান্তকে খুব সম্মান করি। যে কারণে তার অবস্থাটা আমি পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি।’
নানান ঘটনায় বর্তমানে মাঠ ও মাঠের বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের অবস্থা খুবই বেসামাল। এমন অবস্থায় ডি ককের অবসর ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে কিনা? দল কিংবা মাঠে এর প্রভাব পরবে কিনা? এমন প্রশ্নে বেশ সাবলীল জবাব দিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
এলগার বলেন, ‘এসব সমস্যা আমাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। কারণ আমাদের সিস্টেমের মধ্যে অন্যান্য প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। যাদের প্রতি অনেক মনোযোগ দিতে হবে। আমরা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ধাক্কা খেয়েছি। আমাদেরকে আরো খেয়াল করে চলতে হবে এবং সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে।’
ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট হেরে বেশ ব্যাকফুটে রয়েছে প্রোটিয়ারা। ডি ককের অবসর কিছুটা হলেও শূণ্যতা তৈরি করেছে। তবে সেটা মেনেই বাস্তবতার দিকে চোখ রেখে দল নিয়ে এগিয়ে যেতে চান এলগার।
প্রোটিয়া অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি না যে তার সিদ্ধান্ত টেস্ট ক্রিকেটকে বিপদে ফেলবে। আমরা দল হিসাবে সবার অবসরকে সম্মান করি। আমাদেরকে এসব মেনেই এগিয়ে যেতে হবে। আমি ভাগ্যবান যে, দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি বড় অবসর দেখার অভিজ্ঞতা আমার আছে। কেউ চিরস্থায়ী নয়। একসময় অবসর নিতেই হবে। তার জন্য খেলা থেমে থাকবে না।’
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]