করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এক বছর বিরতির পর আবারও মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অষ্টম আসর। এ আসরকে সামনে রেখে ফ্রাঞ্চাইজিগুলো নিজেদের দল গুছিয়ে নিয়েছি। অষ্টম আসরে বিপিএলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দলের তালিকা করলে সবার আগেই আসবে ঢাকার নাম। কারণ শুধু দেশি নয়, বিদেশি সংগ্রহেও অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিয়েছে তারা। শেষ পর্যন্ত কেমন করবে সেটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ফাইনাল পর্যন্ত।
বিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফটের আগেরদিন হঠাৎই জানা যায়, নিয়ম না মানায় ঢাকার ফ্রাঞ্চাইজির মালিকানা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) হাতে থাকবে। এরপরেই শোনা যায়, ডিরেক্ট সাইনিংয়ে দলে যুক্ত হয়েছেন জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এছাড়াও এই ক্যাটাগরিতে বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে আসেন ইসুরু উদানা, কায়েস আহমেদ এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান।
বিপিএলে এবারই প্রথমবারের মতো বিপিএলে জাতীয় দলের তিন তারকা মাশরাফি মর্তুজা, তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একই সাথে খেলবেন। তাই তো বলাই যায়, অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারে ভরপুর হয়েই মাঠে নামবে দলটি।
মোটামুটি অভিজ্ঞ সব ক্রিকেটারকে নিয়ে দল সজিয়েছে ঢাকা। দলের ওপেনিংয়ে থাকছেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এছাড়াও তার সঙ্গী হিসেবে থাকবেন নাঈম শেখ, মোহাম্মদ শেহজাদের মতো অভিজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, ঘরোয়া লিগের পরীক্ষিত তারকা শামসুর রহমান শুভও আছেন এ তালিকায়। ওপেনিং নিয়ে অধিনায়ককে পড়তে হতে পারে মধুর সমস্যায়।
মূলত ওপেনিং ব্যাটার হলেও তিন নম্বরে খেলার অভিজ্ঞতা আছে শামসুর রহমান শুভ এবং মোহাম্মদ শেহজাদের। এ কারণেই টপ অর্ডার নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা মুক্ত থাকবে ঢাকার টিম ম্যানেজমেন্ট।
এ তো গেলো টপ অর্ডার। পেস বোলিংয়ে থাকবেন রুবেল হোসেন এবং শফিউল ইসলামের মতো অভিজ্ঞ পেসার। অবশ্য দুইজনই দীর্ঘদিন ধরে ইনজুরি সমস্যার মোকাবিলা করছেন। ইনজুরি কাটিয়ে বিপিএল দিয়েই মাঠে ফিরবেন তারা। দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরায় তারা কতটা কার্যকর হবেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ঢাকার পেস আক্রমণের মূল ব্যাটনটা ধরে রাখবেন লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানা। তার সঙ্গী হতে পারেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের নিয়মিত পেসার এবাদত হোসেন এবং আফগান ফজল হক ফারুকি।
এছাড়াও থাকবেন অভিজ্ঞ মাশরাফি বিন মর্তুজা। যদিও তিনি দীর্ঘ এক বছর আবারও মাঠে ফিরতে প্রস্তুত হচ্ছেন। দীর্ঘ বিরতি থাকলেও তার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং ভোগাতে পারে প্রতিপক্ষকে।
ঢাকার হয়ে উইকেটের পিছনে কে দাঁড়াবেন? এটা বড় একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিজ্ঞ জহুরুল হক অমি এবং তরুণ ইমরানুজ্জামানের পাশাপাশি দলে আছেন আফগান উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ শেহজাদ।
আবুধাবি টি-টেন লিগ কিংবা অন্যান্য ফ্রাঞ্চাইজি লিগে নিয়মিত মুখ মোহাম্মদ শেহজাদ। এদিকে সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ছন্দে ছিলেন ইমরানুজ্জামান। তাই তো ঢাকার হয়ে উইকেটের পিছনে কে দাঁড়াবেন তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ঢাকার মিডল অর্ডার থাকবে অভিজ্ঞদের হাতে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পাশাপাশি থাকবেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ঘরোয়া লিগের নিয়মিত পারফর্মার শুভাগত হোমও আছেন এ তালিকায়।
নিশ্চিতভাবেই ঢাকার স্পিন আক্রমণের নেতৃত্বেও থাকছে বিদেশির হাতে। দেশি কোনো লেগ স্পিনার না থাকলেও বিদেশি কোটায়। আফগান কায়েস আহমেদকেই দেখা যাবে ঢাকার স্পিন আক্রমণের নেতৃত্ব দিতে।
জাতীয় দলের হয়ে ক্যারিয়ার দীর্ঘ না হলেও ফ্রাঞ্চাইজি লিগগুলোতে বেশ জনপ্রিয় কায়েস আহমেদ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) না খেললেও বিগব্যাশ, কাউন্টি, সিপিএলে নিয়মিত মুখ কায়েস।
স্পিন আক্রমণে কায়েসের সঙ্গী হতে পারেন বাংলাদেশি স্পিনার আরাফাত সানি। এছাড়াও হাত ঘুরাবেন শুভাগত হোম। দলে প্রয়োজনে হাতে বল তুলে নিতে পারেন জাতীয় দলের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
দলের সব পজিশনেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে রেখেছে ঢাকা ফ্রাঞ্চাইজি। তরুণ নাঈম শেখ কিংবা ইমরানুজ্জামানদের জন্য শেখার মঞ্চটা প্রায় প্রস্তুতই বলা যায়।
ঢাকা স্কোয়াড
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ,তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, শুভাগত হোম, নাঈম শেখ, আরাফাত সানি, ইমরুজ্জামান, শফিউল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম অমি, শামসুর রহমান, এবাদত হোসেন, মোহাম্মাদ শেহজাদ, ফজল হক ফারুকি, ইসুরু উদানা, কায়েস আহমেদ, নাজিবুল্লাহ জাদরান।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]