বক্সিং ডে টেস্টেও ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি ইংল্যান্ড। প্রথম দিনেই ১৮৫ রানে অলআউট হয়েছে ইংলিশরা। জবাবে ১ উইকেটে ৬১ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। দিন শেষে ম্যাচে এগিয়ে আছে প্যাট কামিন্সের দল।
অ্যাশেজের প্রথম দুই ম্যাচেই অপ্রতিরোধ্য ছিল অস্ট্রেলিয়া। এ কারণে প্রথম দুই ম্যাচে অনায়াসেই জয় তুলে নিয়েছে অজিরা। তৃতীয় ম্যাচে এসেও নিজেদের দাপট বজায় রেখেছে প্যাট কামিন্সের দল।
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। প্রথম দুই টেস্টে বাজে ব্যাটিংয়ের বলি হয়ে ম্যাচ হেরেছিল ইংল্যান্ড। তৃতীয় টেস্টে ব্যাটিংয়ে নেমেই আবারো সেই ব্যাটিং ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে ইংলিশ।
বল হাতে দারুণ শুরু করেছিল অজি পেসাররা। তাদের বোলিং তোপে ১৮৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছে ইংলিশরা। অপরদিকে দিনশেষে এক উইকেট হারিয়ে ৬১ রান তুলে দিন শেষ করে অজিরা। ১২৪ রানে পিছিয়ে থাকলেও প্রথম দিন শেষে ম্যাচে এগিয়ে আছে অজিরাই।
দিনের শুরুতেই ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন অজি দলনেতা কামিন্স। স্কোরবোর্ডে নিজের নামের পাশে কোনো রান না করেই ফিরে যান ওপেনার হাসিব হামিদ। এরপর আরও দুইবার আঘাত হানেন কামিন্স। জ্যাক ক্রুলি (১২) ও ডেভিড মালানকে (১৪) ফিরিয়ে ভেঙ্গে দেন ইংলিশদের ব্যাটিং মেরুদন্ড।
জো রুট (৫০) এবং জনি বেয়ারস্টো (৩৫) প্রতিরোধের চেষ্টাই কেবল করে গেলেন। তাদেরকে নিজের জোড়া শিকারে পরিনত করেন মিচেল স্টার্ক।
এরপর আর দাঁড়াতে পারেনি ইংলিশরা। মাঝে ক্যামেরন গ্রীণ ফেরান বেন স্টোকসকে (২৫)। শেষের দিকে ইংলিশদের ছেটে দেয়ার কাজটা করেন নাথান লায়ন। তিনি জশ বাটলার (৩), অলি রবিনসন (২২) ও জ্যাক লিচকে (১৩) ফেরান। তাতেই ১৮৫ রানে থেমে যায় ইংলিশদের ইনিংস।
জবাব দিতে নেমে বেশ সাবলীল শুরু করেছিলেন দুই অজি ওপেনার মার্কাস হ্যারিস এবং ডেভিড ওয়ার্নার। দু’জন মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। দিনের একদম শেষের দিকে ৩৮ রানে ওয়ার্নারকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙ্গেন টেস্ট ইতিহাসের সেরা পেসার জেমস অ্যান্ডারসন।
ওয়ার্নারের বিদায়ে নাইট ওয়াচম্যান হিসাবে মাঠে নামেন নাথান লায়ন। হ্যারিসকে নিয়ে বাকি পথটা নিরাপদে পার করে দিন শেষ করেন তিনি। দিন শেষে হ্যারিস ২০ এবং লায়ন অপরাজিত আছেন ০ রানে।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]