ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই দেশ সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে নিষেধাজ্ঞা মুক্ত হওয়ার পর থেকেই নানা কারণে জাতীয় দলে নিয়মিত নন তিনি। এবার জানালেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে তিন ফরম্যাটে খেলা চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব। যে কারণে টেস্ট ফরম্যাট নিয়ে ভাবছেন বিশ্বসেরা এ টাইগার অলরাউন্ডার।
২০২১ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সর্বমোট ৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যার মধ্যে চারটি ঘরের মাঠে এবং বাকি তিনটি অ্যায়ে ম্যাচ। তবে সাতটি টেস্টের মাঝে সাকিব আল হাসান খেলেছেন তিনটি ম্যাচে। যেখানে একটি সিরিজে কোন ম্যাচে খেলেননি তিনি।
টেস্ট ছাড়াও ইনজুরি ও বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে আইপিএলে অংশ নেওয়ায় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন সাকিব। এবার সর্বশেষ জানালেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনার মাঝে খেলতে গিয়ে কোয়ারেন্টাইন পালনে হাঁপিয়ে উঠেছেন। যার কারণে টেস্ট নিয়ে ভাবছেন সাকিব।
দেশের বেসরকারি টেলিভিশন এনটিভিতে দেওয়া একান্ত স্বাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ আমি জানি এবং কোনটা প্রেফারেন্স (প্রাধান্য) দিতে হবে সেটাও আমি জানি। আর এখন আসলেই এমন একটা সময় এসেছে যে, আসলেই আমি টেস্ট নিয়ে চিন্তা করছি। এটাই হচ্ছে ফ্যাক্ট।’
তিনি বলেন, ‘আমি আদৌ আর টেস্ট খেলবো কি-না, খেললেও কিভাবে খেলবো। ইভেন, ওয়ানডে ফরম্যাটে যেগুলোতে (ম্যাচ) পয়েন্ট সিস্টেমে নেই সেগুলোতে আমার অংশগ্রহণ করার দরকার আছে কি-না। সো, আমার আসলে এখন আর কোন অপশন নেই।’
টেস্ট খেলা নিয়ে ভাবলেও এখনই অবসর নিচ্ছেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তিনি বলেন, ‘বলছি না যে, আমি আসলে অবসর নেব, টেস্ট থেকে। এমনও হতে পারে যদি ২০২২-এর বিশ্বকাপের পর আমি টি-টোয়েন্টি না খেলি তখন আবার ওয়ানডে ও টেস্ট খেললাম। কিন্তু একসাথে তিন ফরম্যাটে খেলা অলমোস্ট ইমপসিবল।’
কারণ হিসেবে সাকিব বলেন, ‘কারণ আপনি যখন ৪০-৪২ দিনে দুইটা টেস্ট খেলেন, এটা কোনোভাবেই আসলে ফ্রুটফুল (ফলপ্রসূ) হওয়ার মতো বিষয় না। স্বাভাকিকভাবেই এটা অনুপ্রাণিত করে সিলেক্টিভ ম্যাচ খেলার জন্য।’
তবে সবকিছু করার আগে বিসিবির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। কারণ, জানুয়ারি থেকে ক্রিকেটারদের নিয়ে পুরো বছরের প্ল্যান তৈরি করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সাকিব বলেন, ‘এগুলো নিয়ে বিসিবির সাথে অবশ্যই ভালোভাবে একটা প্ল্যান করা জরুরি। প্ল্যান করে সামনে আগানাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। যেটা জানুয়ারির মধ্যেই প্ল্যানগুলো করলে হয়তো আমি পুরো বছরটাই জানতে পারবো যে, কী হচ্ছে।’
২০০৭ সালে ১৮ মে চট্টগ্রামে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৫৯টি ম্যাচ খেলেছেন সাকিব আল হাসান। যার মধ্যে ব্যাট হাতে ৫টি সেঞ্চুরি ও ২৬টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে। এছাড়া টেস্ট ফরম্যাটে একটি ডাবল সেঞ্চুরি (২১৭) হাঁকানোর রেকর্ড রয়েছে। আর বল হাতে ২১৫টি টেস্ট শিকার করেছেন তিনি।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]