টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই দুরন্ত ফর্মই যেন ধরে রেখেছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিতেছিল পাকিস্তান। এবার ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেও হারালো বাবর আজম বাহিনী। ব্যাট-বলে দুরন্ত পারফর্মেন্স করে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে বাবর-রিজওয়ানরা।
করাচি ন্যাশন্যাল স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন বাবর আজম। তাকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান স্পিনার আকিল হোসেন। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের তৃতীয়বারের মতো শূন্য রানে ফেরেন বাবর আজম। তিনবারই ঘরের মাঠে শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি। আগের দুইবার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।
বাবরের বিদায়ের পর বেশি একটা সুবিধা করতে পারেননি ফখর জামান। ১০ বলে ১০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ধারণা করা হয়েছিল হয়তো অল্প রানেই গুটিয়ে যাবে পাকিস্তান।
তবে তৃতীয় উইকেটে দলকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং হায়দার আলি। দুইজনকে মিলে গড়ে তোলেন ১০৫ রানের জুটি। এ জুটির উপর ভিত্তি করেই ২০০ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।
মোহাম্মদ রিজওয়ান প্যাভিলিয়নে ফিরলে ভাঙে ১০৫ রানের জুটি। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৫২ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। রিজওয়ানের বিদায়ের পর দ্রুতই তার পথ ধরেন আসিফ আলি এবং ইফতিখার আহমেদ। এরপরেই হায়দার আলির সাথে জুটি বেধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের উপর তান্ডব চালানো শুরু করেন মোহাম্মদ নাওয়াজ।
হায়দার এবং নাওয়াজ দুইজন মিলে ১১ বলে ৩০ রান তোলেন। তবে হায়দার আলি ৩৯ বলে ৬৮ রান করে ফিরলে ভাঙে এ জুটি। শেষ পর্যন্ত ১০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। শেষ পর্যন্ত ২০০ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।
২০১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দুর্দান্ত বোলিং ইউনিটের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ক্যারিবিয়ানদের তরুণ স্কোয়াড। একের পর এক ব্যাটাররা প্যাভিলিয়নে যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন।
ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দলকে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নাওয়াজ। ম্যাচে নিজের প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরান ব্রেন্ডন কিংকে। কিং-এর বিদায়ের পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন শাই হোপ এবং নিকোলাস পুরান। তবে পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে পুরান ফিরলে ভাঙে এ জুটি।
পুরানের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ প্যাভিলিয়নে টিকে থাকতে পারেননি শাই হোপ। ৩১ রানে হোপ ফিরলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন অথৈ সাগরে পড়ে। একের পর এক ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফিরতে শুরু করলে এক সময় ৮৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মূলত তখনই পরাজয়টা নিশ্চিত করে ফেলে ক্যারিবিয়ানরা। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের আরও ছয় বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর ফলে ৬৩ রানের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিম চারটি এবং শাদাব খান তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। আর এদের বোলিং তোপে ১৩৭ রানে অল আউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
প্রথম ম্যাচ জিতে সিরিজের ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। সিরিজ জয় নিশ্চিত করতে ১৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাবর আজম বাহিনী।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]