প্রায় আড়াই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর ম্যাচের ফলাফল ড্র হবে এটাই সম্ভবত স্বাভাবিক ঘটনা। তবে সে ঘটনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এবার হারের মুখে বাংলাদশ। শুরু থেকেই পাকিস্তানের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে গিয়ে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছে বাংলাদেশি ব্যাটাররা। উইকেটে টিকে থাকতেই আক্রমণাত্মকভাবে ব্যাটিং করছিল বলে জানান ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত।
ঢাকা টেস্টের প্রথম দিনে দুই সেশন খেলার হওয়ার পর থেকেই বৃষ্টির হানা। দ্বিতীয় দিনে মাঠে গড়িয়েছিল কেবলমাত্র ৩৮ বল। তৃতীয় দিনে বৃষ্টির কারণে হয়নি একটি বলও। তবুও ম্যাচ হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ।
আড়াই দিন বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর মাঠে নেমছিল বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। পাকিস্তান তাদের সাবলীল ব্যাটিং করে ৩০০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে। ৩০০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো শুরু করে বাংলাদেশ।
উইকেটে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো তাদের সবারই রয়েছে প্যাভিলিয়নে ফেরার তাড়া। তাই তো দিন শেষে ৭ উইকেটে ৭৬ রান তুলে ফলোঅনের শঙ্কায় পড়েছে।
উইকেটে টিকে থাকার জন্যই আক্রমণাত্মকভাবে খেলছিল বলে জানান ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত । তিনি বলেন, ‘আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের একটা কারণ ছিল- উইকেটে যত রক্ষণাত্মক খেলবেন তত কঠিন হয়ে উঠবে। এখানে রান করাও গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য ব্যাটাররা যার যে শটে ভালো দক্ষতা আছে তারা সেই শট খেলতে চেয়েছে।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫০ বলে ৩০ রান করে নাজমুল হাসান শান্ত। এছাড়াও সাকিব ৩২ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত আছেন। অন্য ব্যাটাররা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
এ উইকেটে রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেললে দ্রুতই আউট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল বলে জানান নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘এখানে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেললে আউট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। দুর্ভাগ্যবশত এক্সিকিউশন ওরকম হয়নি। এই উইকেটে রক্ষণাত্মক থাকলেই সমস্যা হত।’
আক্রমণাত্মক খেলার জন্য আলাদা করে কোনো পরিকল্পনা নয় বরং নিজেদের সহজাত স্কিলেই সামর্থ্য রাখতে চেয়েছিলেন বলে জানান শান্ত।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ পরিকল্পনাই ছিল। যার যার ন্যাচারাল গেম খেলার পরিকল্পনা ছিল। ওরকম আলাদা কোনো পরিকল্পনা ছিল না।’
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]