এমনিতেই বৃষ্টির কারণে খেলা শুরু হতে দেরি। খেলা শুরুর পরও দলকে কোনো সাফল্য এনে দিতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ঠিক বোলাররা না কারণ বল করার সুযোগই পেয়েছিলেন দুই পেসার এবাদত হোসেন এবং খালেদ আহমেদ। আবহাওয়ার সুযোগও কাজে লাগাতে হয়, সেই ভাবনাটাই হয়তো এবাদত-খালেদের মধ্যে ছিল না।
বৃষ্টির কারণে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ছিল বৃষ্টি। বৃষ্টিকে সরিয়ে প্রথম সেশনে মাঠে গড়ায়নি কোনো বল। সবশেষে দ্বিতীয় সেশনে মাঠে নামার সুযোগ পায় বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান।
মেঘলা আবহাওয়া, তাই তো স্বাভাবিকভাবেই সুবিধা পাবেন পেসাররা। উইকেট থেকে আদায় করে নিবেন সুইং। কিসের কি? বাংলাদেশের পেসাররা অফ স্ট্যাম্পের বাইরের লেন্থ ধরে টানা বল করে গেলেন। দুই প্রান্ত থেকে দুই পেসার এবাদত এবং খালেদ একই কাজ করে গেলেন।
অফ স্ট্যাম্পের বাইরে লেন্থ ধরে বল করে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের দুই ব্যাটার বাবর আজম এবং আজহার আলি উইকেটে থিতু হতে সময় নিলেন না। আলোকস্বল্পতায় আগের দিন হাফ সেঞ্চুরি করতে না পারা আজহার আলি তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফ সেঞ্চুরি।
অপরদিকে বাবর আজম নিজের রানকে আরেকটু সামনে বাড়িয়ে নেন। দুই ব্যাটার অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ৫২ এবং ৭১ রানে।
ছোট একটা পরিসংখ্যানকে সামনে আনা যায়, দ্বিতীয় দিনে খেলা মাঠে গড়িয়েছিল ৩৮ বল। পুরোটাই সময় জুড়েই বোলিং করেছিলেন বাংলাদেশের দুই পেসার এবাদত হোসেন এবং খালেদ আহমেদ। এ সময়ে পাকিস্তানের দুই ব্যাটার মিলে তুলেছিলেন ২৭ রান। এক বারের জন্যও পাকিস্তানের ব্যাটাররা এবাদত বা খালেদের বল খেলতে অস্বস্তিতেও পড়েননি।
নির্বিষ এ বোলিং আক্রমণ দেখে মনে হচ্ছিলো খেলতে নেমেছেন পাড়ার ক্রিকেট। পাকিস্তানের ব্যাটাররা সুযোগ দিলে তবেই পাবেন উইকেট। নেই উইকেট শিকারের তাড়া।
বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণ কখনই বিশ্বমানের ছিল না। তবে বর্তমান ধারহীন বোলিং আক্রমণ নিশ্চয় প্রশ্ন তোলার অবকাশ রাখে। উইকেটের সুবিধা নিয়ে এবাদত-খালেদরা স্ট্যাম্প টু স্ট্যাম্প বোলিং করতে পারতেন। সাফল্য না আসুক, হয়তো অস্বস্থিতে পড়তে পারতেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। সেই কাপনও ধরাতে পারেননি এবাদত-খালেদরা। দায়সারা বোলিং আক্রমণ নিয়েই নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]