ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপে প্রত্যাশার সিকিভাগও মেটাতে পারেনি বাংলাদেশ। সে ধারাবাহিকতায় ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর প্রথম টেস্টেও হেরেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টের দলে ফিরছেন সাকিব আল হাসান। তবে কি বদলাবে বাংলাদেশের দূর্দশার চিত্র? এ উত্তর পাওয়ার জন্য ম্যাচের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে স্পোর্টিং উইকেট পেয়েও রান করতে ব্যর্থ টপ অর্ডার। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে দুই ইনিংসেই দলের রান বাড়ানোর কাজ করেছিলেন লিটন দাস।
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ফর্মে না থাকলেও সাদা পোষাকে স্বপ্নের মতো একটি বছর কাটাচ্ছেন লিটন। তাই তো ঢাকা টেস্টেও তার উপর থাকবে প্রত্যাশার চাপ।
চলতি বছর মাত্র দুইটি টেস্ট খেলা সাকিব আল হাসান দলে ফিরেছেন। তাই তো অধিনায়কের কন্ঠে ছিল স্বস্তির ছাপ। তাই তো সাকিবের দিকেও তাকিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
সাকিব ফেরায় অধিনায়ক মমিনুল হক স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘ উনি আসলে, ক্যাপ্টেন হিসেবে আমি নির্ভার থাকি। তার ব্যাটিং-বোলিং খুব গুরুত্বপূর্ণ। টিম কম্বিনেশন তার থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক।’
সাকিব ফেরায় যেমনটা স্বস্তিতে আছেন ওপেনিং নিয়ে ঠিক ততটাই বেশ দুর্ভাবনায় আছেন অধিনায়ক। অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবাল ইনজুরির কারণে দলে নেই। আরেক ওপেনার সাইফ হাসান টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে দলের বাইরে চলে গেছেন। তাই সাদমানের সঙ্গী কে হবেন, তা নিয়ে একটু হলেও ভাবতে হচ্ছে তাকে।
সাদমানের ওপেনিং সঙ্গী হওয়ার দৌড়ে আছেন মাহমুদুল হাসান জয়, নাঈম শেখ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। এর মধ্যে শান্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে কোনো দিনই ওপেনিং করেননি। অপরদিকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলের নিয়মিত ওপেনার নাঈম শেখ সর্বশেষ ২১ মাসে খেলেননি কোনো প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। এমনকি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পরিসংখ্যানও তার পক্ষে কথা বলে না। মাহমুদুল হাসান জয়কে অতিরিক্ত ওপেনার হিসেবে দলে ডাকা হলেও চট্টগ্রাম টেস্টে একাদশে সুযোগ পাননি। শেষ পর্যন্ত এ দৌড়ে কে জিতবেন তা হয়তো এখনও বলা যাচ্ছে না।
মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিনারদের স্বর্গরাজ্য। ২০ সদস্যের স্কোয়াডে রয়েছেন ছয় পেসার। কোন দুই পেসারের একাদশে থাকবেন তা হয়তো উইকেট দেখেই সিদ্ধান্ত নিবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে তাসকিন আহমেদের সঙ্গী হওয়ার দৌড়ে হয়তো এগিয়ে থাকবেন এবাদত হোসেন।
চট্টগ্রাম টেস্টে পাকিস্তানের ব্যাটারদের মধ্যে ভীতি ছড়াতে ব্যর্থ হয়েছিলেন দুই পেসার আবু জায়েদ রাহি এবং এবাদত হোসেন। তবে দুই উইকেট শিকার করায় শেষ পর্যন্ত হয়তো তার উপরেই ভরসা করবেন অধিনায়ক।
টিম কম্বিনেশনে সাত ব্যাটার এবং চার বোলার থাকবে তা নিশ্চিত করেছেন অধিনায়ক মমিনুল হক। তিনি বলেন, ‘সাত ব্যাটারের সাথে চার বোলার থাকবে।’
স্পিনার হিসেবে তাইজুলের পাশাপাশি মিরাজের জায়গা পাওয়া নিশ্চিতই বলা যাচ্ছে। আর পঞ্চম বোলার হিসেবে থাকবেন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
বছরের শেষ ম্যাচে কি জয় সঙ্গী হবে নাকি হারের বৃত্তেই বন্দি থাকবে বাংলাদেশ? সে উত্তর তো মিলবে ম্যাচের শেষে। বিজয়ের মাসে জয় উপহার পাবে ক্রিকেট সমর্থকরা এ আশাতেই হয়তো সমর্থন দিতে বসবে প্রিয় বাংলাদেশকে।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]