পাকিস্তানময় একটি দিন দেখলো চট্টলার জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়াম। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশে আধিপত্য করছে এ রকম খুবই কম দেখা যায়। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথমদিনে ভালো খেলায়, দ্বিতীয় দিন নিয়ে একটু হলেও জেগেছিল আশা। সে আশা পূর্ণ করতে পারেনি টাইগাররা। ৫৭ ওভার বল করে শিকার করতে পারেনি একটি উইকেটও।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথমদিনের প্রথম সেশনে চার উইকেট হারালেও পুরোদিন জুড়ে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি দুই ব্যাটার লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম। এতেই বাংলাদেশের স্বপ্নবাজ সমর্থকরা ভেবেছিল বাংলাদেশ চট্টলা টেস্টে ভালো কিছু করবে। তবে দ্বিতীয় দিনের আলো যেন পুরোটাই নিজেদের দিকে টেনে নিয়েছে পাকিস্তান।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে হাসান আলির দারুণ বোলিংয়ে একের পর এক বাংলাদেশি ব্যাটার পরাস্ত হচ্ছিলেন। এতেই প্রথম সেশনে আগের দিনের সাথে ৭৭ রান যোগ করেই অল আউট হয়।
দ্বিতীয় সেশনে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানকে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। পেসাররা ব্যর্থ হলেও স্পিনার তাইজুল ইসলাম একবার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তবে অধিনায়ক মমিনুল হক রিভিউ না নেওয়ায় একমাত্র সাফল্য পাওয়া থেকেও বঞ্চিত হয় বাংলাদেশ।
দুই সেশনে বাংলাদেশ ৫৭ ওভার বোলিং করে। তবে এক ওভারেও পাকিস্তানের বোলারদের উইকেট শিকার তো দূরে থাক, একবার চ্যালেঞ্জও জানাতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। তাই তো উইকেটে এখনও টিকে আছে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি।
এরপর আর কোনো সুযোগ দেননি পাকিস্তানের দুই ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক এবং আবিদ আলি। দ্বিতীয় সেশন শেষে ২৯ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে তোলে ৭৯ রান।
তৃতীয় সেশনেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখে পাকিস্তানের দুই ওপেনার। নখদন্তহীণ পেসার নিয়ে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অধিনায়ক মমিনুল হক। তবে মমিনুলের আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি একাদশে থাকা দুই পেসার এবাদত হোসেন এবং আবু জায়েদ রাহি।
উল্টো নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিক। আর ৯০ এর ঘরে এসে আপাতত থেমেছেন আরেক ওপেনার আবিদ আলি। ৯৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করবেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ- ৩৩০/১০ (লিটন ১১৪, মুশফিক ৯১, হাসান আলি ৫/৫১)
পাকিস্তান- ১৪৫/০ (আবিদ ৯৩*, শফিক ৫২*)
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]