পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দিনের প্রথম সেশনে বিপদে পড়েও শেষ পর্যন্ত দলকে রক্ষা করেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দিন শেষে লিটন দাসের সেঞ্চুরি এবং মুশফিকের বড় সংগ্রহে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় সংগ্রহের আশা দেখে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতা। হাসান আলির বোলিং তোপে ৩৩০ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই পাকিস্তানি বোলারদের মুভমেন্ট-সুইংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে সময় বাড়ার সাথে উইকেট হয়ে উঠছে নিখাদ ব্যাটিং স্বর্গ। তবে শুরুতেই দিশেহারা হয়ে পড়ায় সে সুবিধা আর নিতে পারেনি।
দিনের দ্বিতীয় ওভারেই হাসান আলির ইনসুইংয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন লিটন দাস। তাই তো আগের দিনের সাথে নিজের নামের পাশে এক রান যোগ করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন লিটন। বিদায়ের সময় লিটনের নামে পাশে ছিল ১১৪ রান।
লিটনের বিদায়ে ক্রিজে আসেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলি রাব্বি। উইকেটে এসে সম্ভবত চাপটা নিজের কাঁধে তুলে নিতে পারেননি তিনি। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অভিষেক হলেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ১৯ বল খেলে মাত্র ৪ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। তাই তো ২৬৭ রান হতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ।
দলীয় ২৭৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। পেসার ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের কাছে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। এরপর ব্যাটিংয়ে নামা তাইজুলও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। দলীয় ৩০৪ রানে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে স্লিপে আব্দুল্লাহ শফিকের কাছে ক্যাচ তুলে দেন তিনি।
রাব্বির বিদায়ের পর টেল টেন্ডারের থাকা তাইজুল-আবু জায়েদ রাহিদের নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অলরাউন্ডার মিরাজ। তাইজুলের সাথে ২৮ রানের জুটির পর রাহির সাথেও ২৬ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। তবে শেষ পর্যন্ত দলকে ৩৩০ রানে থামলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
দিনের শুরুতেই উইকেটের সুবিধা বেশ ভালোভাবেই আদায় করে নিয়েছেন পাকিস্তানি পেসার হাসান আলি। তাই তো ইয়াসির রাব্বির ব্যাটিংয়ের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইনিংস বড় করার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠিয়েছেন।
ক্যারিরিয়ারে ৬ষ্ঠ বারের মতো পাঁচ উইকেট শিকারের স্বাদ পেলেন হাসান আলি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫১ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]