চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনের শুরুত সেশনে ছিল পাকিস্তানি বোলারদের দাপট। এতেই প্রথম সেশনে চার উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। ওই ৪ উইকেটেই ২৫৩ রান তুলে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। হারিয়ে বসেছে ৩ উইকেট।
দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস। হাসান আলির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। বিদায়ের সময় লিটনের নামের পাশে ছিল ১১৪ রান। লিটনের বিদায়ে মুশফিকের সাথে তার ২০৬ রানের জুটি ভাঙে। পঞ্চম উইকেট জুটিতে এটা বাংলাদেশের পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি।
লিটনের বিদায়ের পরেই মাঠে আসেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলি রাব্বি। কেমন করবেন রাব্বি? সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিল পুরো বাংলাদেশ। তবে পারেননি তিনি।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর নিজের অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ইয়াসির আলি রাব্বি। তবে বড় করতে পারেননি নিজের অভিষেক ইনিংস। ৪ রানেই প্যাভিলিয়েন ফেরত যান। এতেই ৪ উইকেটে ২৫৩ থেকে ৬ উইকেটে ২৬৭ রান হয়ে দাঁড়ায়।
রাব্বির বিদায়ের পর মেহেদী হাসান মিরাজ এবং মুশফিকের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, সেশনটা হয়তো এ দুই ব্যাটার মিলেই পার করে দিবেন। তবে তা পারেননি।
পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন মুশফিকুর রহিম। এতেই নড়বড়ে ৯০ এর ঘরে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিক বিদায় নেন ৯১ রানে।
মুশফিকের বিদায়ের পর উইকেটে আছেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ এবং স্পিনার তাইজুল ইসলাম। কতক্ষণ পর্যন্ত দলকে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যেতে পারেন সেটাই দেখার অপেক্ষা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩০০ রান। মিরাজ ২২ এবং তাইজুল ৭ রান অপরাজিত আছেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]