তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। সে হারের ক্ষত না শুকাতেই আবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ফরম্যাট বদলে এবার টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ-দুই দলই এ সিরিজ দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্রে মাঠে নামছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে ছিল পাকিস্তান। ফরম্যাট বদল হলেও এখানেই নিজেদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশকে রীতিমতো সহজ প্রতিপক্ষ হিসেবেই বিবেচনা করছে বাবর আজমের দল।
অপরদিকে বাংলাদেশ পাকিস্তানকে বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ ভেবেই মাঠে নামবে বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক মমিনুল হক। তার মতে বাংলাদেশের পাকিস্তানকে হারানোর সামর্থ্য রয়েছে।
এখন পর্যন্ত ১১ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। ১১ ম্যাচের কোনোটিতেই পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। ১০ হারের বিপরীতে অর্জন বলতে একটি ড্র। এছাড়াও ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও হারের স্বাদ নিয়েছিল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের বাংলাদেশ দলে নেই সাকিব-তামিমদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটাররা। এটা নিয়ে বেশ হতাশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল হক। এছাড়াও দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাসকিনকেও মিস করবে টাইগাররা। ইনজুরির কারণে টেস্ট স্কোয়াডে নেই তিনি।
ম্যাচের আগের দিনও বাংলাদেশের স্কোয়াডে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি। ১৫ সদস্যের মূল স্কোয়াডে যুক্ত হয়েছেন দুই পেসার সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং শহিদুল ইসলাম।
বাংলাদেশের বিপক্ষে পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই এসেছে পাকিস্তান। ম্যাচের আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) নিজেদের সম্ভাব্য স্কোয়াড জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সে স্কোয়াডে অবশ্য জায়গা পাননি মোহাম্মদ আব্বাস। তিনি ছাড়াও নিয়মিত প্রায় সবাই আছেন দলে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এ সিরিজে দিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় চক্র শুরু করবে বাংলাদেশ দল। প্রথম চক্রে সাত ম্যাচ খেলে এক ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ দল। তাই তো এবার ভালো শুরু করার জন্য মরিয়া হয়ে আছে বাংলাদেশ।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্ট্রল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]