তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২৪ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ধীরগতির ইনিংস হলেও বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডের ১০০ রান পার হওয়ার কৃতিত্ব মোহাম্মদ নাঈম শেখকেই দিতে হবে।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দলীয় ৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৫ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান পাকিস্তানের অভিষিক্ত পেসার শাহনেওয়াজ দাহানি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের নিজের দ্বিতীয় বলেই উইকেটের স্বাদ পান দাহানি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শান্ত ফিরে গেলেও দলের হাল ধরেন ওপেনার নাঈম শেখ এবং তিনে নামা শামীম হোসেন পাটোয়ারি।
এরপর দলের হাল ধরেন নাঈম শেখ এবং শামীম পাটোয়ারি। দুইজন মিলে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড় করান ৩৩ রান। পাওয়ার প্লেতে নাঈম শেখের সংগ্রহ ছিল ১৩ বলে ৭ রান। অপরদিকে তিনে নামা শামীম হোসেন পাটোয়ারি করেছিলেন ১৮ বলে ২০ রান।
দলীয় ৩৭ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২২ রানে ফিরে যান শামীম পাটোয়ারি। উসমান কাদিরের বলে মিড উইকেটে ইফতিখার আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নাঈম এবং শামীম মিলে ৩০ রানের জুটি গড়েন।
শামীমের বিদায়ের পর ক্রিজের আসেন বাঁহাতি ব্যাটার আফিফ হোসেন ধ্রুব। প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ২ উইকেটে ৫২ রান। এ সময় ক্রিজে ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং ওপেনার নাইম শেখ। নাঈম ২৫ বলে ২০ এবং আফিফ ৭ বলে ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
দুইজন মিলে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে দলীয় ৮০ রানের মাথায় ফিরে যান আফিফ হোসেন ধ্রুব। এ সময় তার সংগ্রহ ছিল ২০ রান। উসমান কাদিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। আফিফ ঝড় তোলার চেষ্টা করলেও নাঈমের ধীর গতির ইনিংসে রান বাড়ানোটা বেশ কঠিন হয়ে উঠেছিল।
১৫তম ওভার পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৮৯ রান। এ সময় ক্রিজে ছিলেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ সময় নাঈমের সংগ্রহ ছিল ৪০ বলে ৩৯ রান।
১৬তম ওভারে চতুর্থ বলে দলীয় শতরান পূরণ করে বাংলাদেশ। এ সময় বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৫ বলে ৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন। অপরদিকে ওপেনার নাঈম শেখ করেছিলেন ৪৫ বলে ৪৪ রান।
দলীয় ১১১ রানে ফিরে যান ওপেনার নাঈম শেখ। তিনি ৫০ বলে খেলে করেছেন ৪৭ রান। পুরো ইনিংসে মনে হয়েছিল টি-টোয়েন্টি নয় ওয়ানডে খেলতে নেমেছিলেন তিনি।
নাঈমের বিদায়ের ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান। পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দেন তিনি।
সোহানের পর পরই বিদায় নেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হারিস রউফের শিকার হন তিনি। প্যাভিলিয়েনে ফেরার আগে ১৪ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত ১২৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইংনিস। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ ওয়াসিম এবং উসমান কাদির দুইটি করে উইকেট শিকার করেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্ট্রল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]