ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জিওফ অ্যালারডাইস। চলতি বছরের মানু সোহনির বিদায়ের পর থেকে ভারতপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব হিসেবে পালন করছিলেন।
ক্রিকেট প্রশাসনে জড়ানোর আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছিলেন তিনি। ক্যারিয়ার নিয়ে বেশিদূর আগাতে না পারলেও পরবর্তীতে ক্রিকেটে প্রশাসনে নাম লেখান।
ক্রিকেটের পাশপাশি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে নিজের স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। এছাড়াও আট বছর আইসিসির জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন অ্যালারডাইস।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেলেও মেলবোর্ন ইউনিভার্সিটি দলের হয়ে খেলেছেন তিনি। ভিক্টোরিয়ার হয়ে ১৪ টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। এ সময় সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেমস সাদারল্যান্ডকে।
চলতি শতকের শুরুর দিকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) আম্পায়ার ম্যানেজার হিসেবে ক্রিকেট প্রশাসনে যুক্ত হন অ্যালারডাইস। এছাড়াও সিএ-র ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১২ সাল পর্যন্ত সিএ-তে চাকরি করেন তিনি।
সিএ-র চাকরি ছেড়ে পড়ে আইসিসিতে যোগ দেন জিওফ অ্যালারডাইস। প্রথম আট বছর আইসিসির জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এরপরেই প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব পেলেন তিনি।
অ্যালারডাইস বলেন, ‘আমার ধারাবাহিক মনোযোগ থাকবে খেলার জন্য সঠিক জিনিসটি করা এবং দীর্ঘ মেয়াদী সাফল্য ও স্থায়িত্বের জন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা। আমি আইসিসির স্টাফদের ধন্যবাদ জানাতে চাই তাদের দায়বদ্ধতার জন্য এবং গত আট মাস আমাকে সাহায্য করার জন্য। আমি আমার প্রতিভাবান দল নিয়ে ক্রিকেটের উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
আইসিসির প্রধান নির্বাহী হিসেবে অ্যালারডাইসকে নিয়োগ দিয়ে চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলি বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে জিওফ আইসিসির স্থায়ী প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব নিতে সম্মত হয়েছে। কঠিন সময়ে সে দারুণভাবে নেতৃত্বের দক্ষতা দেখিয়েছে এবং সফলভাবে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১ সম্পন্ন করেছে।’
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্ট্রল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]