টানা দুই ম্যাচে হেরে বেশ ব্যাকফুটে ছিল ভারত। এমনকি তৃতীয় ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কাও ছিল। তবে আফগানিস্তানের সাথে দাপটের সাথে ফিরে এসেছে বিরাট কোহলির দল। আফগানদেরকে রানের পাহাড়ে চাপা ফেলে ৬৬ রানে ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে ভারত।
পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করায় কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল ভারত। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখার জন্য ভারতের সামনে আফগানদের বিপক্ষে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। জয়ও তুলে নিয়েছে ভারত, আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পাবে আগে থেকেই তা ধারণাতে ছিল। তাই তো ভারতীয় গণমাধ্যম বেশ আগেই জানিয়েছিল সুপার টুয়েলভের বাকি তিন ম্যাচে ‘দুধের শিশুদের’ সাথে লড়াই করবে ভারত।
আবুধাবি শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। তবে তার নেওয়া সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তা প্রমাণ করতে সময় নেননি ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং লোকেশ রাহুল।
আগের ম্যাচে ওপেনিংয়ে নেমে ব্যর্থ হওয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঈশাণ কিষাণকে বসিয়ে একাদশে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরায় ভারত। তাই তো এক ম্যাচের বিরতি দিয়ে ওপেনিংয়ে ফেরেন রোহিত শর্মা। শুধু ফেরা নয়, প্রত্যাবর্তনটা ছিল রাজকীয়।
শুরু থেকেই আফগানিস্তানের বোলারদের উপর চড়াও হওয়া খেলা শুরু করেন রোহিত এবং রাহুল। দুইজন মিলে গড়ে তোলেন শতরানের জুটি।
ভারতের ইনিংসের ১৫তম ওভারে দলীয় ১৪০ রানের মাথায় রোহিত প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ভাঙে তাদের ওপেনিং জুটি। করিম জানাতের বলে এক্সট্রা কভার অঞ্চলে আফগান দলপতি নবীর হাতে ধরা পড়েন তিনি।
সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। তিনি ব্যক্তিগত ৬৯ রানে গুলবাদিন নাইবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন।
তবে টানা দুই উইকেট হারানোর পরও দলকে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋষাভ পান্থ এবং হার্দিক পান্ডিয়া।
শেষ পর্যন্ত তাদের দুইজনের কার্যকরী ইনিংসে ২১০ রানে থামে ভারতের ইনিংস। চলমান বিশ্বকাপে এটিই সবচেয়ে বড় সংগ্রহ।
২১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই বেশ নড়বড়ে ছিল আফগানিস্তান। কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ শেহজাদ। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় আফগানিস্তান। মনে হয়েছিল, কোনো এক অদৃশ্য শক্তি আফগানদের মাঠ তাড়া করছিল। তাই তো সবাই ব্যকুল হয়েছিল ড্রেসিং রুমে ফেরার জন্য।
৬৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসা আফগানিস্তানের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী এবং করিম জানাত। তবে দুইজনের লড়াকু ইনিংসের পরও তা আফগানিস্তানের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। তাদের দুইজনের ইনিংস আফগানিস্তানের হারের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র।
শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন করিম জানাত। দলীয় বিপর্যয়ের মুখে এ রকম সাহসী ইনিংস অবশ্যই কৃতিত্বের দাবি রাখে। ভারতের করা রানের পাহাড়ে চাপা পড়লেও সব উইকেট হারায়নি আফগানিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে থামে আফগানরা।
ভারতের হয়ে ৩২ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন পেসার মোহাম্মদ সামি। এছাড়াও ১২ রানে ২ উইকেট শিকার করেন স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিন।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]