সুপার টুয়েলভে প্রথম তিন ম্যাচ হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে মূলত আগেই ছিটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ দুই ম্যাচে লক্ষ্য ছিল জয় তুলে কিছু প্রাপ্তির তৃপ্তি নেওয়া। তবে সেটিও এখন মরিচিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে দাঁড়াতেই না পারা বাংলাদেশ গড়লো লজ্জাজনক রানের স্কোর।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৮ দশমিক ২ বলে গুটিয়ে যাওয়ার আগে ৮৪ রান করে বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। লিটন দাস ও নাঈম শেখের উদ্বোধনী জুটি থেকে ২২ রান পায় বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে ৯ রান করে সাজঘরে ফিরলে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১১ বলে ১ চার এ রান করেন নাঈম।
নাঈমকে ফেরানোর পরের বলেই খালি হাতে সৌম্য সরকারকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। পর পর দুই উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ ওভারে তৃতীয় বলে মুশফিকুর রহিম (০), অস্টম ওভারের শেষ বলে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৩) এবং নবম ওভারের প্রথম বলেই খালি হাতে ফিরেন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
ব্যাটারদের আত্মাহুতির মিছিলে দলীয় ৩৪ রানেই পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এক প্রান্তে ব্যাট হাতে লিটন দাস ধরে খেললেও অন্যপ্রান্তে চলে আসা-যাওয়া।
পাঁচ উইকেট হারানোর পর প্রথম বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের একাদশে জায়গা পাওয়া শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে নিয়ে কিছুটা আশার আলো দেখান ওপেনার লিটন দাস। ফলে ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪০।
তবে ১২তম ওভারে হতাশ করেন লিটন দাস। দলের বাকিদের ব্যর্থতার মাঝে তার ব্যাটে রান আসলেও দ্বাদশ ওভারের তৃতীয় বলে লেগ বাইয়ের ফাঁদে পরে সাজঘরে ফিরেন লিটন। ৩৬ বলে ২৪ রান করে লিটন ফিরলে দলীয় ৪৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ অভিষেক ম্যাচে ২০ বলে ১১ রান করে শামীম ফিরলে দলীয় ৬৪ রানের সপ্তম উইকেট হারায়। মাহেদী হাসানের সাথে এ জুটি থেকে ১৯ রান পায় বাংলাদেশ।
দলীয় ৭৭ রানের অস্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৩ রান করা তাসকিন ফিরলে এ জুটি ভাঙে। এরপর দলীয় ৮৪ রানে নবম উইকেট হারায় টাইগারা।
২৫ বলে ২ চার ও এক ছক্কায় ২৭ রান করে ফিরেন মাহেদী হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগার শিবিরে এটাই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। এরপর পরের বলেও গোল্ডেন ডাক মারেন শরিফুল ইসলাম। এটা নিয়ে এক ম্যাচে তিন ব্যাটার গোল্ডেন ডাক মারেন।
বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কাগিসো রাবাদা এবং এনরিখ নর্টজে তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া তাবারাইজ শামসি ২টি এবং ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস একটি উইকেট শিকার করেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]