চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে টানা তিন ম্যাচ হেরে কার্যত বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বাংলাদেশের। হেরে যাওয়ার ম্যাচগুলোতে ব্যাট-বলে খারাপ খেললেও সবচেয়ে বেশি দৃষ্টিকুটুর হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেটারদের ক্যাচ মিস। সুপার টুয়েলভের প্রত্যেক ম্যাচেই একাধিক ক্যাচ মিস দলকে বেশ ভুগিয়েছে। শুধু তাই নয়, হেরে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে ক্যাচ মিসও দায়ী হয়ে ওঠেছে।
বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৭২ রানের টার্গেট দিয়ে জয় বঞ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। বিশাল সংগ্রহের ওই ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি ক্যাচ মিস করেছেন দলের অভিজ্ঞ ফিল্ডার লিটন দাস। মূলত ওই ম্যাচে হেরে যাওয়ার পেছনে ক্যাচ মিসকেই দায়ী করা হয়।
সুপার টুয়েলভের দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও বেশ কয়েকটি ক্যাচ মিস করেছে বাংলাদেশ। ১২৪ রানের সংগ্রহ নিয়ে ইংল্যান্ডকে আটকানো অসম্ভব বিষয় থাকলেও ম্যাচে ক্যাচ মিস করেছে টাইগাররা।
সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও তিনটি ক্যাচ করেছে বাংলাদেশ। বাঁচা-মরার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ক্যারিবিয়ানদের ১৪২ রানে আটকাতে পারলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় হেরে গেছে বাংলাদেশ। তবে ক্যাচ মিসের ঘটনা না হলে আরও কল স্কোরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আটকনো সম্ভব হতো এটা নিশ্চিত ছিল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ক্যাচ মিস নিয়েও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে শুনতে হয়েছে প্রশ্ন। সেখানে অবশ্য দলের ধারাবাহিক ক্যাচ মিস নিয়ে অধিনায়ক নিজেও কনসার্ন বলে জানান।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘এ রকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলোতে বিশেষ করে দলের যারা সেরা ফিল্ডার ক্যাচ মিস করে অনেক সময়.. কেউ তো আর ইচ্ছে করে করে না। তবে আমরা প্রত্যাশা করি যে, ওরা সুযোগগুলো নিবে। কিন্তু যেহেতু ধারাবাহিকভাবে ওই ভুলগুলো (ক্যাচ মিস) হচ্ছে, ম্যাচ বাই ম্যাচ। অবশ্যই এটা একটা কনসার্ন। আমার মনে হয়, আমাদের ক্যাচিং আরও ভালো করতে হবে এবং করা উচিত।’
ক্যাচ মিস নিয়ে কনসার্ন হলেও এ ক্ষেত্রে দলের খেলোয়াড়দের টেকনিক্যাল সমস্যা রয়েছে বলে মনে করেন না টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘না, টেকনিক্যাল কনসার্ন না। রেগুলেশন ক্যাচ ছিল, আনফরচুনেটলি মিস হয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে, সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই হেরে যাওয়ায় বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনালে খেলা থেকে কার্যত ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। সুপার টুয়েলভে আর মাত্র দুটি ম্যাচ খেলার বাকি রয়েছে বাংলাদেশের। তবে বিশ্বকাপ থেকে এখনো অনেক কিছু পাওয়ার আছে বলে বিশ্বাস করেন টাইগার অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘এখনো অনেক কিছু পাওয়ার আছে। সেমি-ফাইনালের আশাটা হয়তো ক্ষীণ হয়ে গেছে। তবে দুটা ম্যাচ আছে, আমরা যদি জিততে পারি দলের জন্য ভালো কিছু হবে। এবং আমরা সবাই মরিয়া হয়েই চেষ্টা করছি মাঠে শতভাগ প্রতিশ্রুতি রাখার। ভুল হচ্ছে কিন্তু আমার মনে হয় দুটা ম্যাচ জেতার চেষ্টা করবো।’
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]