চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার একাদশে ছিলেন না প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। একাদশে ডি কক না থাকাটা ক্রিকেট প্রেমিদের কাছে বেশ চমক হিসেবেই দেখা দিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ চলাকালীন জানা গিয়েছিল ‘ব্যক্তিগত কারণে’ মাঠে নামেননি তিনি। তবে ম্যাচ শেষে জানা যায়, বর্ণবাদ ইস্যুতে মাঠে নামেননি কুইন্টন ডি কক। তবে শেষ পর্যন্ত জল অনেকদূর গড়ানোর পর ক্ষমা চেয়েছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। পরিষ্কার করেছেন নিজেদের অবস্থান।
ডি কককে অনেকেই বর্ণবাদী তকমাও দিয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছিলো, ডি ককের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)। তবে শেষ পর্যন্ত সিএসএ-র প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন ডি কক। সেখানেই ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ঘটনার শুরু মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর), সেদিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সিএসএ এক বিবৃতিতে সব প্রোটিয়া ক্রিকেটারকে হাঁটু গেড়ে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলনে সমর্থন জানাতে বলেছিল। তবে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। তাই তাকে একাদশে না রেখেই মাঠে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এ ম্যাচে টসের সময় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা জানান, ব্যক্তিগত কারণে মাঠে নামেননি ডি কক। তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক জানান, ডি ককের বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ না নেওয়ায় বেশ হতবাক হয়েছেন সতীর্থরা। এরপরে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো কথা বলেননি ডি কক। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সিএসএ-র দেওয়া এক বিবৃতিতে ডি কক জানান, কাউকে আঘাত দেওয়ার জন্য এ কাজ করেননি তিনি।
ডি কক বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না খেলার মাধ্যমে কাউকে আঘাত দিতে চাইনি। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের অসম্মান করতে চাইনি। মঙ্গলবার ম্যাচের আগেও আমরা একসাথে ছিলাম। আমি অন্যদের মনে আঘাত দেওয়ার পাশাপাশি যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছি এর জন্য গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
বিষয়টিকে কখনও নিজের ব্যক্তিগত ইস্যুতে পরিণত করতে চাননি বলে দাবি করেছেন তিনি। সে সাথে একজন ক্রিকেটার হিসেবে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে সামিল হতে চেয়েছেন।
ডি কক জানান, তার সংহতি প্রকাশ যদি অন্য কারো জন্য শিক্ষামূলক হলে তিনি আন্দোলনে অংশ নিতে আগ্রহী।
বলেন, ‘আমার হাঁটুর গেড়ে বসার বিষয়টি যদি অন্যের জন্য শিক্ষামূলক হয় এবং অন্যদের জীবনকে আরও ভালো করে তোলে তাহলে আমি তা করতে পেরে খুশি হবো।’
উল্লেখ্য যে, বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে বরাবরই নীরব ছিলেন কুইন্টন ডি কক। ২০২০ সালের জুনে অনুষ্ঠিত হওয়ার সলিডারিটি কাপেও বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন করা হলে সেখানে নীরব ছিলেন তিনি। এছাড়া একই বছর বক্সিং ডে টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেও নীরব ভূমিকা পালন করেছিলেন ডি কক।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]