টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই তো ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচের আগ মুহূর্তে একাদশ থেকে সরিয়ে নেন কুইন্টন ডি কক। তার না খেলার কারণ ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে সময় ডি ককের একাদশে না থাকার কথা জানান প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে সে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে।’
টসের পরপরই ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশিকার জারি করে। সেখানে জানানো হয়, বিশ্বকাপের সব ম্যাচ শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে বাধ্যতামূলকভাবে হাঁটু গেড়ে বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সংহতি জানাতে হবে।
বোর্ডের এ সিদ্ধান্তের সাথে ডি ককের না খেলার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়ার যায়নি।
২০২০ সালে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার (বিএলএম)’ আন্দোলন শুরুর পর থেকে বিভিন্ন দল নানা সময়ে হাঁটু গেড়ে সংহতি প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা দলও বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবারই প্রথম এ রকম প্রতিবাদ জানালো তারা।
২০২০ সালের জুলাইয়ে তিন দলের সলিডারিটি কাপ এবং ডিসেম্বরে বক্সিং ডে টেস্টের আগে হাত উঁচিয়ে সংহতি জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা দল।
তখনকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যে যার ইচ্ছামত ভাবে সংহতি প্রকাশ করবে। তবে কুইন্টন ডি কক কোনোভাবেই সংহতি প্রকাশ করেননি।
এবারের নির্দেশিকা প্রকাশ করার আগ পর্যন্ত সে সিদ্ধান্তেই বহাল ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে এবার সিদ্ধান্ত বদল করেছে তারা। সবাইকেই হাঁটু গেড়ে বসতে হবে বলে জানান তারা।
ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের বিবৃতিতে জানায়, ‘ক্রিকেটারদের অবস্থানসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশ্বকাপে অন্যদলগুলো এ ইস্যুতে পরিষ্কার অবস্থান নিয়েছে। বোর্ডের মনে হয়েছে এ ইস্যুতে পরিষ্কার অবস্থান নেওয়া উচিত।’
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]