ক্রিকেটের বিশ্ব আসর মানেই রোমাঞ্চকর সব ঘটনা। বরাবরের মতো এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তৈরি হয়েছে রোমাঞ্চকর ঘটনা। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দিনেই আসরের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন আয়ারল্যান্ডের ডানহাতি পেসার কার্টিস ক্যাম্ফার। শুধু হ্যাটট্রিক নয় করেছেন ডাবল হ্যাটট্রিক।
শুধু হ্যাটট্রিক করেই থেমে থাকেননি এ আইরিশ পেসার। পর পর চার বলে চার ডাচ ব্যাটারকে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন তিনি। এতেই বিশ্বের প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ডাবল হ্যাটট্রিক করলেন। যদিও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তৃতীয় ডাবল হ্যাটট্রিকের ঘটনা। আর হ্যাটট্রিক বিবেচনায় এটি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ১৯তম ঘটনা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কার্টিস ক্যাম্ফার ছাড়াও বাকি দুই ডাবল হ্যাটট্রিকের মালিক আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান এবং লঙ্কান পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। দুইজনই ২০১৯ সালে ডাবল হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েন। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ডাবল হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েন রশিদ খান। একই বছর নিউজিল্যান্ডে বিপক্ষে একই রেকর্ড গড়েন লাসিথ মালিঙ্গা।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কার্টিস ক্যাম্ফারের করা হ্যাটট্রিক ১৯তম হলেও বিশ্বকাপের মঞ্চে এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন ব্রেট লি।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয় নেদারল্যান্ডস এবং আয়ারল্যান্ড। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নেদারল্যান্ডস। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই বেশ চাপের মুখে ছিলো নেদারল্যান্ডস।
নিয়মিত বিরতিতে হারাতে থাকে উইকেট। এরই মধ্যে ম্যাচের ১০ম ওভারে নিজের দ্বিতীয় বারের মতো বোলিং আক্রমণে আসেন ক্যাম্ফার। ম্যাচে নিজের করা প্রথম ওভারে বেশ খরুচে ছিলেন ক্যাম্ফার। তার করা প্রথম ওভার থেকে ১২ রান তুলে নেয় দুই ডাচ ব্যাটার কলিন অ্যাকারম্যান এবং ম্যাক্স ও’ডড।
প্রথম ওভারে খরুচে হলেও দ্বিতীয় ওভার স্বপ্নের মতো কাটান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারি বৈধ না হলেও, দ্বিতীয় ডেলিভারি থেকে কোনো রান তুলতে পারেনি নেদারল্যান্ডসের ব্যাটার অ্যাকারম্যান। ওভারের দ্বিতীয় বলে আক্যারম্যানকে আইরিশ উইকেটরক্ষক নেইলের রকের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। আম্পায়ার আউটের আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হন ক্যাম্ফার।
ওভারের তৃতীয় বলে অভিজ্ঞ রায়ান টেন ডেসকাটকে লেগ বিফোরে ফাঁদে ফেলে বোকা বানান ক্যাম্ফার। চতুর্থ বলেও একইভাবে প্যাভিলিয়েন ফেরেন স্কট এডওয়ার্ডস। তবে এডওয়ার্ডসের আউটের আবেদনেও সাড়া দেননি আম্পায়ার। শেষ পর্যন্ত রিভিউ নিলে ফলাফল আয়ারল্যান্ডের পক্ষে আসে। তখনই পূরণ হয় ক্যাম্ফারের হ্যাটট্রিক।
ওভারের পঞ্চম বলে অভিজ্ঞ ভ্যান ডা মারওয়েকে বোল্ড আউট করে ডাবল হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ক্যাম্ফার। ডাবল হ্যাটট্রিক করার পথে দুইবার রিভিউ নিয়ে সফল হয়েছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার।
নিজের কোটার শেষ দুই ওভারে আর কোনো উইকেট শিকার করতে পারেননি ক্যাম্ফার। শেষ পর্যন্ত চার উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়। ম্যাচে ২৬ রানের ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
ক্যারিয়ারের ৫ম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ক্যাম্ফার। আগের চার টি-টোয়েন্টিতে তার শিকার ছিলেন সর্বসাকুল্যে ৩ উইকেট। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিন উইকেট শিকার করেছিলেন। বাকি তিন ম্যাচে কোনো উইকেটই শিকার করতে পারেনি।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]