বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনই ব্যাট করেননি ক্রিস গ্রিভস। যখন ক্রিজে আসেন তখন ৫২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বেশ দ্রুতই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল স্কটল্যান্ড। তবে এক বিস্ফোরক ইনিংস খেলে দলকে এনে দেন লড়াইয়ের পুঁজি। শুধু ব্যাটিং নয় বল হাতেও বাংলাদেশকে থামিয়ে দেওয়ার নায়ক গ্রিভস।
স্কটল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি দলে গ্রিভসের মূল কাজ লেগ স্পিন। তাই তো তার ব্যাটিং নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। তবে দলের বিপদে যেভাবে হাল ধরলেন ভবিষ্যতে তার উপর প্রত্যাশার চাপ আসতেই পারে। ৫৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন স্কটল্যান্ড দ্রুতই অলআউট হয়ে যাওয়ার শঙ্কায়, তখনই মার্ক ওয়াটের সাথে জুটি করে দলকে উদ্ধার করেন গ্রিভস। ২৮ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন এ স্কটিশ এ অলরাউন্ডার। স্কটল্যান্ডের জয়ের জন্য এ এক ইনিংসই যথেষ্ট ছিল।
রোববার (১৭ অক্টোবর) ওমানের আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ রান হারায় স্কটল্যান্ড। বিশ্বকাপের মঞ্চে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। এ জয়ের সবচেয়ে বড় নায়ক হয়েছিল ক্রিস গ্রিভস।
দেশের হয়ে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন গ্রিভস। মূল কাজ লেগ স্পিন দিয়ে দলের জয়ে অবদান রাখার আগেই ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন গ্রিভস। স্পিন কিংবা পেস দুইটায় দারুণভাবে সামলে নেন তিনি। খেলেন উদ্ভাবনী শট।
রান তাড়ায় পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং লিটন দাসকে হারানোর পর দলকে সামনের দিকে টেনে নিচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। তবে বিপদজ্জনক হওয়ার আগেই এ জুটি ভাঙেন গ্রিভস। ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় সীমানায় ধরা পড়েন সাকিব।
নিজের প্রথম ওভারে সাকিবকে ফেরানোর পর দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই মুশফিককে ফেরান গ্রিভস। নড়বড়ে শুরুর পর ছন্দে ছন্দে ফেরার চেষ্টায় থাকা মুশফিককে বোল্ড করেন তিনি।
তৃতীয় ওভারেও উইকেট পেতে পারতেন তিনি। কিন্তু আফিফ হোসেনের নিচু কঠিন ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি কিপার ম্যাথু ক্রস। এর জন্য অবশ্য বড় কোনো মাশুল দিতে হয়নি তাদের।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]