নির্বাচনে পরিচালক হওয়ার মাত্র একদিন পর পুনরায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। এ নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো বিসিবির শীর্ষ পর্যায়ে আসীন হলেন নাজমুল হাসান পাপন। নতুন মেয়াদে নির্বাচিত হয়েই তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হোন নাজমুল হাসান। সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট অবকাঠামোতে অগ্রগতির বার্তা দেন তিনি। একই মাথে নতুন দায়িত্বে তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা জানান। যার মধ্যে প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ঢাকার পূর্বাচলে শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম প্রস্তুত করা।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এতদিন অনেক কাজ করেছি -এটা মনে করা হবে ভুল। কারণ, এখন আরও কঠিন সময় আসছে। আমাদের প্রথম কাজ হলো, শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম (পূর্বাচলে)। এটা আমাদের যত দ্রুত সম্ভব চালু করতে হবে।’
দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় থাকা শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম কেন দ্রুত নির্মাণ করতে সে তথ্যও জানিয়েছেন তিনি। নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমরা যে আইসিসি ইভেন্টে আবেদন করেছি সেখানে আমাদের এ স্টেডিয়াম দেখানো আছে। এটা ছাড়া কিন্তু আমরা ওই টুর্নামেন্ট পাব না। তো এটা নাম্বার ওয়ান, টপ প্রায়োরিটি।’
নাজমুল হাসান পাপনের দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জে কাউন্সিলর বা ভোটার তালিকা। নতুন এ মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) কাউন্সিলরদের মাঝে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে সে তথ্যও তিনি দিয়েছেন।
বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘কন্সটিটিউশন, পরিচালকদের বলেছি সংবিধানে কোথায় কী পরিবর্তন আনা যায় তা বলতে বলেছি। পরের বোর্ড মিটিংয়ে তারা পরিবর্তনের মতামত উপস্থাপন করবে। আমার প্রস্তাব হলো- আমাদের এখানে এতগুলা ক্লাব অংশগ্রহণ করে অথচ ক্লাবগুলোর ভোট নাই। এমন সব ভোটারের নাম দেখি ক্রিকেটের সঙ্গে যাদের কোন সম্পর্কই নাই। এখানে একটা পরিবর্তন আসা দরকার। এটা একটা উদাহরণ দিলাম, এ রকম আরও আছে।’
নতুন দায়িত্বে নাজমুল হাসান পাপনের তৃতীয় চ্যালেঞ্জ হলো- আঞ্চলিক ক্রিকেট কাঠামো। দেশে নতুন করে স্টেডিয়াম বানানোর চেয়ে একাডেমি এবং মাঠ তৈরির দিকে বেশি নজর দেওয়া হবে বলেন জানান তিনি।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘ক্রীড়া সংস্থা তৈরি। এটার সঙ্গেই কাঠামোগত উন্নয়নের কথা এসেছে। ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ইতোমধ্যে এক জায়গায় হয়েছে আরেক জায়গায় হচ্ছে। আর কোথায় কোথায় হবে এটা নিয়ে প্রস্তাব করেছি। আর বয়স ভিত্তিকের জন্য ডেডিকেটেড অ্যাকাডেমি হবে। এখানে আমি প্রস্তাব রেখেছি যে- উন্নত অ্যাকাডেমি তো কয়েকটা হবে কিন্তু তিনটা থাকবে ডেডিকেটেড।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেমন ব্যাটিংয়ের জন্য একটা থাকবে, পেসারদের জন্য একটা আর স্পিনারদের জন্য একটা। এটা জাতীয় ক্রিকেটারদের জন্য না, ডেভেলপমেন্টের উদ্দেশে। এখানে দেশি হোক বা বিদেশি হোক, ডেডিকেটেড কোচ থাকবে। এছাড়া আমাদের খেলার মাঠ দরকার ৮-১০টা, যেখানে সারা বছর খেলা চালাতে পারি। সামনে আরও বেশি খেলাতে চাই। আর এ মাঠগুলো আমরা (বিসিবি) পরিচালনা করবো।’
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]