কয়েকদিন পরেই মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্ব আসর। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আয়োজক হয়েও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজন করতে পারছে না ভারত। তাই তো বিকল্প হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমানের মাঠে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে দ্য বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। তবে বিদেশের মাটিতে বিশ্বকাপ আয়োজন করেও বিশাল মুনাফা অর্জন করবে ভারত। এ অঙ্কটা প্রায় ১২ মিলিয়ন ডলার।
বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য বিসিসিআই সংযুক্ত আরব আমিরাতের তিনটি মাঠ এবং ওমানের একটি মাঠ ভাড়া করেছে। প্রাথমিক পর্বের ছয় ম্যাচ ওমানের মাটিতে আয়োজিত হবে। বাকি ৩৯ ম্যাচ আরব আমিরাতের তিনটি ভেন্যুতে আয়োজন করবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের তিন ভেন্যু আবুধাবি, শারজাহ এবং দুবাইয়ে এ ম্যাচগুলো আয়োজিত হবে। এ ম্যাচগুলো আয়োজন করায় আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডকে ৭ মিলিয়ন ডলার দিবে। এছাড়া ছয় ম্যাচ আয়োজন করে ওমান পাবে ৪ লক্ষ ডলার।
বিসিসিআই তাদের অ্যাপেক্স কাউন্সিলকে দেওয়া এক চিঠিতে জানিয়েছে, বিশ্বকাপ আয়োজন করে ১৩.৫ মিলিয়ন ডলার পকেটে ভরবে তারা। সিরিজে শেষ না করে ফেরায় ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে ১.৫ মিলিয়ন ডলার দিবে ভারত। বিশ্বকাপ থেকে অর্জিত অর্থ থেকে তা প্রদান করবে বিসিসিআই।
এছাড়াও বিশ্বকাপ পরিচালনা বাবদ ৫.৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। বিশ্বকাপ পরিচালনার এ খরচ বহন করবে আইসিসি। এছাড়াও পুরো বিশ্বকাপ আয়োজন করতে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে জানিয়েছে বিসিসিআই।
এবারের বিশ্বকাপে মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ওমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরত কর্তৃপক্ষ। বিশ্বকাপ টিকিট বিক্রি থেকে পাওয়া রাজস্ব সাধারণত স্বাগতিক দেশ পেয়ে থাকে। তবে এবার টিকিট বিক্রির রাজস্ব বিসিসিআইয়ের পকেটে ঢুকবে না। এ টাকা পাবে আরব আমিরাত এবং ওমান।
বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য স্থানীয় আয়োজক কমিটি গঠন করেছে বিসিসিআই এবং আরব আমিরাত ক্রিকেট। সেখানে বিসিসিআই প্রতিনিধি ছাড়াও থাকছেন আরব আমিরাত ক্রিকেটের প্রতিনিধি। বিশ্বকাপ পরিচালনায় সকল ধরনের সহযোগিতা করবে আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]