টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে ‘এ’ দলের হয়ে খেলছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহীম। এইচপি দলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে নিজের প্রমাণও দিলেন তিনি। দলের জয়ে ব্যাট হাতে করেছেন অপরাজিত ৭০ রান। তবে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা তরুণ ক্রিকেটার শামীম হোসেন পাটোয়ারী ব্যর্থ হয়েছেন।
পারিবারিক কারণে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। এরপর জৈব-সুরক্ষার বেড়াজালে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও খেলতে পারেননি তিনি। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ফিরলেও করতে পারেননি রান। নুরুল হাসান সোহানের হাতে কিপিং গ্লাভস তুলে দিয়ে শুধুমাত্র ব্যাট করলেও ৫ ম্যাচে মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৯ রান।
অভিজ্ঞ এ টাইগার ক্রিকেটারের ব্যাটে এমন রান হয়তো এর আগে কখনো দেখা যায়নি। ফলে বিশ্বকাপের আগে ব্যাটে রান পেতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মুশফিক। মিরপুরে অনুশীলন ছাড়াও বিকেএসপিতে প্রিয় শিক্ষক নাজমুল আবেদিন ফাহিম স্যারের কাছ থেকেই পরামর্শ নিয়েছেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় বন্দর নগরী চট্টগ্রামে বিসিবি এইচপি দলের বিপক্ষে ‘এ’ দলের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন।
দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে এইচপিকে ৬ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে ‘বাংলাদেশ এ’ দল। দলের জয়ে ব্যাট হাতে অপরজিত ৭০ রান করেন মুশফিকুর রহীম। ৯১ বলে তার ইনিংসে ৬টি চারের মারের সাথে একটি ছক্কার মার ছিল।
মুশফিক ছাড়াও ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন ‘বাংলাদেশ এ’ দলের হয়ে খেলা ইমরুল কায়েস। ৮১ বলে ৫ চারে ৬০ রান করেছেন তিনি। তবে বল-ব্যাটে ব্যর্থততার পরিচয় দিয়েছেন বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা শামীম হোসেন পাটোয়ারী, রুবেল হোসেন এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।
এইচপি দলের হয়ে খেলা শামীম হোসেন পাটোয়ারী ব্যাট হাতে করেছেন ১২ বলে ৮ রান। আমিনুল ইসলামের ব্যাট থেকে এসেছে ৮ রান। বল হাতে অবশ্য শামীম-আমিনুল একটি করে উইকেট নিয়েছেন। আর রুবেল ৩২ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুশফিব-মুমিনুল-ইমরুল-শান্ত-মিঠুনদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে মাঠে নামে হাইপারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি) দল। প্রথমে ব্যাট করে বিশ্বকাপজয়ী দলের ওপেনার তানজিদ হাসানের ৮১ ও শাহাদাতের ৫১ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ৪৮.৫ ওভারে ২৪৭ রানে গুটিয়ে যায় এইচপি দল।
২৪৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা প্রত্যাশামতো করতে পারেনি ‘এ’ দল। দলীয় ৩৫ রানে ফেরেন শান্ত (২৭)। এরপর ইমরুলকে সঙ্গে নিয়ে মুমিনুল ৫৮ রানের জুটি গড়েন। ৪৫ বলে ২৯ রান করেন টেস্ট অধিনায়ক। তবে ইমরুল পান হাফ সেঞ্চুরির দেখা। ৮১ বলে ৫ চারে ইমরুল ৬০ রান করেন তিনি। এরপর মোসাদ্দেক ২৪ রানে আউট হলেও মুশফিক ও মিঠুন অবিচ্ছিন্ন থেকে ম্যাচ শেষ করেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]