ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটের লিগে (ডিপিডিসিএল) টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। রোববার ডিপিডিসিএলের রেলিগেশন লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে অপরাজিত ১০২ রান করেন কলাবাগান ক্রিড়া চক্রের ডান-হাতি ব্যাটসম্যান অ্যাশ। তবে তার দল কলাবাগান ৬ উইকেটে হেরে গেছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের কাছে।
সাভারের বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্বান্ত নেয় কলাবাগান। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ওপেনার ফয়সাল আহমেদকে হারায় কলাবাগান। এরপর দলকে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন আরেক ওপেনার ওয়ালিউল করিম ও তিন নম্বরে নামা আশরাফুল। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ৬টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৯৫ বলে ৭৯ রান করে বিদায় নেন ওয়ালিউল।
তবে এক প্রান্ত আগলে দলের রানের চাকা সচল রাখেন আশরাফুল। ইনিংসের ৪৯তম ওভারে গিয়ে তার রান দাড়ায় ১৩৩ বলে ৯২। অর্থাৎ ইনিংসে শেষ ওভারে সেঞ্চুরি পেতে ৮ রান লাগবে অ্যাশের। ব্রাদার্সের সোহরাওয়ার্দি শুভ’র করা শেষ ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর পর পরের ২ ডেলিভাার থেকে ২টি সিঙ্গেলস নেন আশরাফুল।
সেঞ্চুরির জন্য শেষ ডেলিভারি থেকে ২ রান প্রয়োজন পড়ে আশরাফুলের। কিন্তু শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে এবারের লিগে নিজের পঞ্চম ও টানা তিন ম্যাচে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অ্যাশ। ১০টি চারে ১৩৭ বল মোকাবেলা করে ১০২ রান করেন আশরাফুল। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৫২ রানের পুঁজি পায় কলাবাগান।
জয়ের জন্য ২৫৩ রানের টার্গেট ওপেনার মিজানুর রহমানের ১১৫ রানের কল্যাণে ৩৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ব্রাদার্স।১১টি চার ও ৬টি ছক্কায় ১০৪ বলে ১১৫ রান করেন ম্যাচের সেরা মিজানুর।
এছাড়া ইয়াসির আলী অপরাজিত ৪৫*, নাজমুস সাদাত ৩২ ও অধিনায়ক অলক কাপালি ২৭ রান করেন।
লিগ পর্বে ১১ ম্যাচে ২টি জয়ে ৪ পয়েন্ট পেয়ে টেবিলের সর্বশেষ দল আশরাফুলের কলাবাগান। রেলিগেশন লিগে দুই ম্যাচে অংশ নিয়ে দু’টিতেই হেরেছে তারা।