বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এখন ক্রিকেট বিশ্বে পঞ্চম ধনী বোর্ড। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও এবার একই তথ্য জানালেন। বিসিবি সভাপতি বলেন, নিজের গত দুই মেয়াদ শেষে বিসিবির এফডিআর করা আছে প্রায় ৯শ’ কোটি টাকা।
আইসিসি টেস্ট ফান্ডের অনুদান ছাড়াও এসিসির ইভেন্ট থেকে রেভিনিউ শেয়ারিং মানি, টিভি সম্প্রচার সত্ত্ব, বিভিন্ন টুর্নামেন্ট আয়োজনে টাইটেল ও টিম স্পন্সর, ক্লদিং স্পন্সর, বিপিএলসহ নানা খাত থেকে এসব আয় করেছে বিসিবি।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘এক সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শুধুমাত্র হেড কোচ থাকতো। এখন বোলিং, ফিল্ডিং, ট্রেইনার এবং হেড কোচ; সবাই বিদেশি। শুধু জাতীয় দল নয়, নারীদের, এইচপি এমনকি অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও বিদেশি কোচ। আগের তুলনায় বিসিবির খরচ কয়েকগুণ বেড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কোচিং স্টাফে সব বিদেশি। কোচ খেলোয়াড়দের বেতন ১০ গুণ বেড়ে গেছে। এতো কিছুর পরও বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিটে ৯০০ কোটি টাকার মতো। আইসিসির টাকার বাইরে এটা সম্পূর্ণ লোকাল স্পন্সর থেকে আয়।’
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি আয়োজিত ‘নতুনের আবাহন’ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিসিবির এ আয়ের পেছনে বোর্ডের সাবেক নির্বাচিত পরিচালক এবং অর্থ কমিটির চেয়ারম্যান মরহুম আফজালুর রহমান সিনহার অবদান স্মরণ করেন নাজমুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘সিনহা ভাই ফিন্যান্সের দায়িত্বে যতদিন ছিলেন, ততদিন একটা কাগজও দেখতে চাইনি। একটা প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্ট তৈরি করে গিয়েছিলেন বলেই বিসিবির ফান্ডে এত টাকা। এর পুরো কৃতিত্ব সিনহা ভাই-এর।’
বিসিবির গত ১০ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে আয়-ব্যয়, নিট উদ্বৃত্ত, নগদ ও ব্যাংক জমা, এফডিআর মিলে দেশেল এই বোর্ডের স্থায়ী মূলধন আছে ৮৩২ কোটি ৬৮ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। যা ২০১১-১২ অর্থবছরে ছিল ৩৯৭ কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার টাকা।
গত ২৬ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) গত ৪ অর্থ বছরে ৮৯৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা খরচের হিসাব অনুমোদন করেছে বিসিবি। আয়ের অংক বেড়ে যাওয়ায় বিসিবির এখন ফিক্সড ডিপোজিটে অর্থের অঙ্কও আকাশ ছোঁয়া।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]