মুশফিক-লিটনে শক্তিশালী হয়েছে ব্যাটিং লাইন-আপ : প্রিন্স

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলে ফিরছেন মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস। তাদের দু’জনের দলে ফেরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জেতা বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপ আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে বাজে ব্যাটিং হওয়ার পর মুশফিক-লিটনের প্রত্যাবর্তন দলের ব্যাটিং লাইন-আপকে আরও শক্তিশালী করবে। তাদের অভিজ্ঞতাও দলের কাজে লাগবে। প্রিন্সের মতে, তাদের প্রত্যাবর্তনে তারুণ্য এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সমন্বয়ে বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী করবে।

শনিবার (২৮ আগস্ট) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সদ্য নিয়োগ পাওয়া টাইগারদের ব্যাটিং কোচ প্রিন্স বলেন, ‘লিটন ও মুশফিকের প্রত্যাবর্তন দলের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের প্রত্যাবর্তন অভিজ্ঞতা এবং তরুণদের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করবে। দলটিতে অভিজ্ঞ এবং তারুণ্যেও একটি ভালো সমন্বয় রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বাংলাদেশ দল সম্পর্কে আমাকে যেটা সত্যিই এক্সাইটেড করে, তা হলো আমাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এবং তরুণ খেলোয়াড়দের ভালো মিশ্রণ রয়েছে। শুধু ব্যাটিং বিভাগে নয়, বোলিং বিভাগেও। আমাদের কিছু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী খেলোয়াড় রয়েছে। এ তরুণরা একটি বড় টুর্নামেন্টে সফল হওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে আসছে। এটি সত্যিই অনুভব করার মত যে, অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মধ্যে ভালো যোগসূত্র রয়েছে। প্রতিটি বিভাগে ভালো মানের পেসার, স্পিন বোলার ও ব্যাটসম্যান রয়েছে।’

চলতি মাসের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অত্যন্ত ধীর এবং নিম্নমানের উইকেটে খেলায় সমালোচনা শুনতে হয়েছে। সিরিজটি ৪-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। তবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে এ সিরিজ নিয়ে সমালোচকেরা যুক্তি দিয়েছিলেন, এ ধরনের উইকেটে খেলে সমস্যা হতে পারে।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও একই ধরনের উইকেটের ইঙ্গিত দিলেন প্রিন্স। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা উইকেট অনুযায়ী নিজেদের খাপ খাইয়ের নেওয়ার ক্ষমতা দেখিয়েছে বলেও মনে করেন প্রিন্স।

তিনি বলেন, ‘আমি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একই ধরনের কন্ডিশন আশা করছি। অস্ট্রেলিয়া সিরিজের বিষয়ে ব্যাটসম্যানরা গতকাল চমৎকার আলোচনা করেছেন। তারা ওই সিরিজে না খেলা লিটন দাস এবং মুশফিকুরের (রহিম) এর সাথে শেয়ারও করেছেন। এসব অভিজ্ঞতা ছেলেরা অস্ট্রেলিয়ার সিরিজ থেকে কী কাজ করেছে এবং কী উন্নতি করতে হবে, সেগুলো নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ভাগ করে নিয়েছি।’

টাইগারদের ব্যাটিং কোচ বলেন, ‘আমি মনে করি জিম্বাবুয়ে এবং অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য হলো- ভিন্ন ব্যাটিং কন্ডিশন। ব্যাটিংয়ের জন্য মানিয়ে নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমি মনে করি জিম্বাবুয়ের বাউন্সি কন্ডিশনে ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছিল দল। সেই সিরিজে আমরা জিতেছিলাম। এরপর দেশে ফিরে আমরা কম বাউন্স এবং স্কোরিং রেটে উন্নতি করেছি।’

মুশফিক-লিটন স্কোয়াডে ফিরলেও অস্ট্রেলিয়ার পর নিউজিল্যান্ড সিরিজেও নেই ওপেনার তামিম ইকবার। তবে ওপেনিং নিয়ে চিন্তিত নন প্রিন্স। বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি ওপেনিং ব্যাটসম্যানদের নিয়ে সত্যিই উদ্বিগ্ন নই। আমি মনে করি জিম্বাবুয়েতে আমাদের একটি বা দু’টি ভালো জুটি ছিল, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কন্ডিশন কঠিন ছিল। ধীর গতির পিচে বারবার বাউন্ডারি আদায় করা সহজ নয়। কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। জুটিটিও গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমি মনে করি, আমাদের ওপেনারদের মধ্যে কঠিন প্রতিযোগিতা আছে। আমি নিশ্চিত লিটন দাসও এ পজিশনে সুযোগ পাবেন।’

ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে আত্মবিশ্বাসী হলেও দলকে সতর্ক করেছেন প্রিন্স। বলেন, ‘আমি মনে করি, সাম্প্রতিক অস্ট্রেলিয়া সিরিজ থেকে শিখে সব ধরনের বিশ্লেষণ ও পরিকল্পনা করবে নিউজিল্যান্ড। তারা এমন একটি দল যারা প্রতিটি ব্যাটসম্যান, বোলার এবং উইকেট নিয়ে সতর্কতার সাথে পরিকল্পনা করবে। নিজেদের সুবিধার্থে সবধরনের তথ্য ব্যবহার করবে তারা।’

স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস

[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং  সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]