ডান-হাতি পেসার টিম সাউদির ৫ উইকেট শিকারের পরও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৯০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯০ রানের সংগ্রহ পেয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ড। উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টোর অপরাজিত ৯৭ ও বোলার মার্ক উডের ৫২ রানের কল্যাণে ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে ইংলিশরা।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিং-এ নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। দলীয় ৬ রানে ইংল্যান্ডের ওপেনার ও সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুককে ফিরিয়ে দেন বাঁ-হাতি পেসার ও প্রথম টেস্টের নায়ক ট্রেন্ট বোল্ট।
তিন নম্বরে নামা জেমস ভিন্সকে বড় ইনিংস খেলতে দেননি সাউদি। ব্যক্তিগত ১৮ রানে থেমে যান ভিন্স। ৩৮ রানের ২ উইকেট হারানোর পর দলকে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যান আরেক ওপেনার মার্ক স্টোনম্যান ও অধিনায়ক জো রুট। জুটিতে অর্ধশতক পূরণ করে দলের স্কোর একশ’র কাছাকাছি নিয়ে যান তারা। তবে দলীয় স্কোর তিন অংকে পৌঁছানোর আগেই ইংল্যান্ডের তৃতীয় উইকেট শিকার করেন সাউদি। ৩৭ রান করা রুটকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান তিনি।
এরপর দলীয় ৯৪ রানেই আরও দু’উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে চাপে ফেলে দেন নিউজিল্যান্ডের দুই পেসার বোল্ট ও সাউদি। শূন্য হাতে থাকা ডেভিড মালানকে শিকার করেন বোল্ট এবং ৩৫ রান করা স্টোনম্যানকে ফিরিয়ে দেন সাউদি। ফলে ৯৪ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় ইংলিশরা।
এ অবস্থায় দলকে বিপদমুক্ত করার চেষ্টা করেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস ও বেয়ারস্টো। উইকেটে সেট হয়ে ধীরে ধীরে দলের স্কোর বড় করছিলেন স্টোকস ও বেয়ারস্টো। তবে আবারো তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান বোল্ট। স্টোকসকে তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডকে আবারো খেলায় ফেরানোর পথ দেখান বোল্ট। ২৫ রান করেন স্টোকস।
স্টোকসের বিদায়ে উইকেটে যাবার সুযোগ পান স্টুয়ার্ট ব্রড। কিন্তু ব্যাট হাতে দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারেননি তিনি। মাত্র ৫ রান করে সাউদির শিকার হন ব্রড।
১৬৪ রানে সপ্তম উইকেট হারানোর পর দ্রুতই গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেটি হতে দেননি বেয়ারস্টো ও লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যান উড। অষ্টম উইকেটে নিউজিল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তারা। ফলে স্কোর বোর্ডে বাড়তে থাকে ইংল্যান্ডের রান।
দলের স্কোর বড় করার সাথে সাথে বেয়ারস্টো ও উড উভয়েই তুলে নেন হাফ-সেঞ্চুরি । বেয়ারস্টো টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৮তম ও উড টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। হাফ-সেঞ্চুরির পরই উডের ইনিংসের সমাপ্তি টানেন সাউদি। ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬২ বলে ৫২ রান করেন তিনি। ফলে এই জুটি থেমে যায় ৯৫ রানে। উডকে শিকার করে টেস্ট ক্যারিয়ারে সপ্তম বারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নেন সাউদি।
উডের বিদায়ের পর দিনের বাকী পরের ৬০ বল ভালোভাবেই পার করে দেন বেয়ারস্টো ও দশ নম্বরে ব্যাট হাতে নামা প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা জ্যাক লিচ। দিন শেষে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫৪ বলে ৯৭ রানে অপরাজিত আছেন বেয়ারস্টো। লিচ অপরাজিত আছেন ১০ রান নিয়ে। নিউজিল্যান্ডের সাউদি ৬০ রানে ৫ ও বোল্ট ৭৯ রানে ৩ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড : ২৯০/৮, ৯০ ওভার (বেয়ারস্টো ৯৭*, উড ৫২, সাউদি ৫/৬০)।