মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরিকে ম্লান করে শাহরিয়ার নাফীসের সেঞ্চুরিতে জয় পেয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। বৃহস্পতিবার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের রেলিগেশন লিগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক।
রেলিগেশন লিগের প্রথম ম্যাচেও আজ সেঞ্চুরি করেন আশরাফুল। তবে তার দল কলাবগান ক্রীড়া চক্র হেরে গেল। আশরাফুলের সেঞ্চুরিকে ম্লান করে দিয়েছে শাহরিয়ার নাফীসের সেঞ্চুরি। তার ব্যাটে ভর করেই কলাবাগানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এ জয়ে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে খেলার স্বপ্ন উজ্জ্বল করলো দলটি। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া কলাবাগানের জন্য এটি ছিল স্রেফ সম্মান রক্ষার ম্যাচ।
বিকেএসপিতে কলাবাগানের দেওয়া ২৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে অগ্রণী ব্যাংক। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ওপেনিংয়ে ৪৫ রানের জুটি গড়েন নাফীস। তবে জয়ের ভিতটা তারা পান দ্বিতীয় উইকেটে। সালমান হোসেনের সঙ্গে ১৭২ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন নাফীস। এরপর নাফীস দলীয় ২১৭ রানে আশরাফুলের শিকার হলেও দলকে জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি। ২৫ বল হাতে রেখেই জয় পায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন নাফীস। ১৪২ বলে ১৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। লিগে এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এছাড়া সালমান হোসেন খেলেন ৮৩ রানের ইনিংস। ৯৩ বলে ১১টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। কলাবাগানের পক্ষে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন আশরাফুল ও নাহিদ হাসান।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় কলাবাগান। কিন্তু শুরুতেই বড় চাপে পড়ে যায় দলটি। দলীয় ৩৬ রানেই নেই ৩ উইকেট। ততক্ষণে ১৩.১ ওভারের খেলা শেষ। এরপর চতুর্থ উইকেটে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান তাইবুর রহমানকে নিয়ে দলের হাল ধরেন আশরাফুল। দু’জন মিলে যোগ করেন ১৬৩ রান। ব্যক্তিগত ৮২ রানে আউট হলে সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হন তাইবুর। তবে হতাশ করেননি আশরাফুল। একপ্রান্ত আগলে রাখেন । পঞ্চম উইকেট পতনের পর রিয়াজুল হুদার সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়ে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন তিনি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে ৪৬ রান করে দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আশরাফুল। ১৩৭ বল মোকাবেলা করে নিজের ইনিংসটি সাজাতে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্ব কনিষ্ঠ এ সেঞ্চুরিয়ান। শেষ দিকে ১৩ বলে ২৭ রান করেন রিয়াজুল হুদা। অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে ৪৬ রান খরচায় ২টি উইকেট পেয়েছেন সৌম্য সরকার। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন শফিউল ইসলাম, আল-আমিন হোসেন ও আব্দুর রাজ্জাক।