ব্যাটসম্যান-অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে দারুন সুনাম কুড়িয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দলনেতা স্টিভেন স্মিথ। তবে কেপ টাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্টের তৃতীয় দিনে বল টেম্পারিং করেছে অস্ট্রেলিয়া। দলের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কারণে দুয়োধ্বনি শুনতে হচ্ছে স্মিথকে। অবশ্য তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বল টেম্পারিং-এর কথা অকপটে স্বীকার করেছেন অসি দলনেতা। ফলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) ইতোমধ্যেই তাকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধও করেছে।
তবে এই বল টেম্পারিং-ই স্মিথের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে প্রথম কোন বির্তক নয়। এরআগে বেশ কিছু বির্তকের জন্ম দিয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব পাবার পর উল্লেখযোগ্য চারটি বির্তক বেশ আলোড়ন ফেলেছিলো ক্রিকেট জগতে।
ডিআরএস ব্রেইন ফেড : প্রায় এক বছর আগে ভারতের বিপক্ষে চার টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ডিআরএস নিয়ে বির্তকের জন্ম দেন তিনি। ওই টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে লেগ বিফোর ফাঁদে পড়েন স্মিথ। এরপর ডিআরএস নেয়ার জন্য প্যাভিলিয়নের সহায়তা চান। এমন ঘটনা দেখে আম্পায়ার আর ডিআরএস নিতে দেননি স্মিথকে।
এন্ডারসনের সাথে বির্তক : সর্বশেষ অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়া দলকে উদ্দেশ্য করে ইংল্যান্ড পেসার বলেছিলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া হতাশায় ভুগছে’। এন্ডারসনের এমন কথার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ বন্ধ করে থাকতে পারেননি স্মিথ। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট জগতে অন্যতম বড় স্লেজার এন্ডারসন।’ অ্যাডিলেড টেস্টের আগে যা ছিলো অপমানজনক।
আম্পায়ারের সাথে বির্তক : ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ডিআরএস-এ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে অসম্মান করেন স্মিথ। যে কারণে ম্যাচ ফি’র ৩০ শতাংশ জরিমানাও গুণতে হয় তাকে।
রাবাদার শুনানির ফলাফলে নিজের মতামত দিয়ে বির্তক তৈরি করেন স্মিথ : চলতি মাসে পোর্ট এলিজাবেথে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্মিথকে ধাক্কা ও সহ-অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারকে আউটের পর মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। ফলে ডিমেরিট পেয়ে আইসিসি কর্তৃক, নিষিদ্ধ হন রাবাদা। এরপর নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে আপিল করেন রাবাদা। সেই আপিলে জয় পেয়ে নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই পান রাবাদা। এমন ঘটনায় চটে যান স্মিথ। তিনি বলেন, ‘যার সাথে এমন ঘটনা ঘটলো, তাকেই শুনানিতে রাখেনি আইসিসি। আমি মনে করি আইসিসির এমন কাজ সত্যিই হাস্যকর।’