২০১৫ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ক্রিকেট খেললেও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে নেই আয়ারল্যান্ড। ‘বাছাইপর্ব’ নামের গ্যাঁড়াকলে পড়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে। টেস্ট মর্যদা পাওয়া শুধু আয়ারল্যান্ডই নয়, এবার বিশ্বকাপে নেই ১৯৯২ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়া জিম্বাবুয়েও।
বিশ্বকাপে খেলতে না পারায় নিজেকে দুর্ভাগা ভাবছেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। একই সঙ্গে আইসিসির সিদ্ধান্তে তিনি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধও।
বিশ্বে অন্য সব খেলায় যেখানে বিশ্বকাপে দলের সংখ্যা বাড়ছে, সেখানে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেটা কমিয়ে দিয়েছে। আইসিসির পূর্ণ সদস্য ১২টি দেশসহ কয়েকটি সহযোগী দেশই ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখলেও বিশ্বকাপে খেলতে পারে মাত্র ১০টি দল। তারমধ্যে র্যাংকিয়ে থাকা ৮টি দলের বাইরে বাকি দুইদলকে আসতে হয় বাছাই পর্ব খেলে।
পোর্টারফিল্ড আইসিসির উপর ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘আইসিসি বড় দলগুলোকে নিয়ে ব্যস্ত। প্রতি চার বছর পরপর যে প্রতিযোগিতা (বিশ্বকাপ) অনুষ্ঠিত হয়, সেটিতে বাছাইপর্ব থেকে মাত্র ২টি দল কীভাবে যায়? ছয় সপ্তাহের এ প্রতিযোগিতায় কয়েকটি বড় দল একে অন্যের সঙ্গে ৯টি করে ম্যাচ খেলবে। এতে ব্যবসা হবে ঠিকই। কিন্তু বাকি দলগুলোর কী লাভ হবে?’
শুধু মাত্র নিজ দেশ আয়ারল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলতে পারছে না এটাই তার দু:খ নয়। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে যেতে না পারার কারণে আমি এসব বলছি, ব্যাপারটা তা নয়। আমি ক্রিকেটের বড় দলের বাইরে অন্য দলগুলোকে দেখেই বলছি। তাদের জন্য আমার খারাপই লাগে। পরের সপ্তাহে তারা কী করবে, সেটা তারা জানে না।’
স্কটল্যান্ডের দুর্ভাগ্যজনক বিদায়টাও মানতে পারেননি তিনি। পোর্টারফিল্ড বলেন, ‘আমরা তো তাও খেলে হেরেছি। কিন্তু স্কটল্যান্ড? ওদের জন্য সত্যিই খারাপ লাগছে।’
২০১৫ বিশ্বকাপের সময় আইসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্বকাপ হবে ১০ দলের। সে সময়ও আইসিসির এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।