বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) নিজের অবস্থান নিয়ে সন্দিহান বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। বিসিবির ক্রিকেট অপরাশেন্স বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও নতুন কোচ নিয়োগের বিষয়ে কিছু না জানায় বিসিবিতে নিজের অবস্থান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সুজন। সোমবার ( ২৮ জুন) মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন সুজন। তখনই এ কথা জানান তিনি।
শনিবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ দলের কোচিং প্যানেলে যুক্ত করা হয় দুই কোচ। তারা হলেন স্পিন বোলিং পরামর্শক রঙ্গনা হেরাথ এবং ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স। এ দুইজনের নিয়োগের ব্যাপারে সংবাদমাধ্যম থেকে তথ্য জেনেছেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন।
বিসিবির ক্রিকেট অপরাশেন্স বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুজন। তবে সেখানকার কোনো বৈঠকে তাকে ডাকা হয় না বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে সুজন বলেন, 'আমি আসলে ভাইস চেয়ারম্যান আছি কিনা অপারেশন্সে সেটা আমি নিশ্চিত না। কোনো মিটিং এটেন্ড করা হয় না বা কোন সময় ডাকাও হয়না। মাঝে তো দু'বছর ইমেইলই পাইনি। এখন কিছু কিছু পাই। তখনই জানি যে বাংলাদেশ টিমের কি স্কোয়াড যাচ্ছে বা কি। আগে অনেক সম্পৃক্ত থাকতাম। এখন আমি অপারেশন্সের সাথে এতভাবে যুক্ত না।'
ক্রিকেট অপারেশন্সের ভাইস চেয়ারম্যানের পাশাপাশি বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। নিজের কাজ নিয়ে তিনি বলেন, 'এটা তো আমি বলতে পারব না। আমি বোর্ডের সাথে কাজ করি, চেষ্টা করি কাউকে যদি সাহায্য লাগে তা করার। আমার নিজেরও দায়িত্ব আছে সে দায়িত্বে আমি সচেতন। আমার ডেভেলপমেন্টের যুব দলের বিকেএসপিতে একটা ক্যাম্প চলছে সেটা নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। কিভাবে কি করা যায়। বিদেশি কোচরা আসছে ট্রেনার আসছে তাদের নিয়ে কাজ করছি। আবার টাইগার্স (বাংলাদেশ টাইগার্স) নিয়ে নতুন একটা কাজ দিয়েছেন পাপন ভাই।'
এসব ছাড়াও জাতীয় দলের টিম লিডার হিসেবেও কাজ করেছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। টাইগারদের সাবেক লঙ্কান গুরু চান্দিকা হাথুরাসিংহের সাথে যেভাবে কাজ করতে পেরেছেন সেভাবে বর্তমান কোচের সাথে কাজ করতে পারেননি বলে জানান তিনি।
স্পোর্টসমেইল২৪/পিপিআর
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]