‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মারার সুযোগ ছিল সাকিব আল হাসানের সামনে। তবে সেটি পারলেন না, উল্টো বাড়লো অপেক্ষা। মূলত ফিল্ডার ভুলে দু’টি রেকর্ডের মালিক হতে পারেননি বাংলাদেশের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ১০ ওভার বল করলেও কোন উইকেট শিকার করতে পারেননি। বল হাতে ৪৮ রান দিয়েছিলেন তিনি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাাংলাদশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হতে মাত্র ১টি উইকেট প্রয়োজন ছিল সাকিবের। বর্তমানে সাবেক সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সমান ২৬৯টি উইকেট রয়েছে সাকিবের। ফলে মাত্র ১টি উইকেট শিকার করলেই বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হতে পারতেন সাকিব। মাশরাফি ২১১টি ও সাকিব ২১৮টি ম্যাচ খেলেছেন।
এছাড়া মিরপুরে ১টি উইকেট পেলে এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের মালিক হওয়ারও সুযোগ ছিল সাকিবের। সেটি করতে পারলে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামকে টপকে যেতেন তিনি।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৭৭ ম্যাচে ১২২ উইকেট নিয়েছেন আকরাম। আর মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৮৪ ম্যাচে ১২২ উইকেট রয়েছে সাকিবের। ফলে আকরামকে টপকে যেতে ১ উইকেট প্রয়োজন ছিল সাকিবের।
তবে ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় রেকর্ডের চূড়া বসা হয়নি সাকিবের। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক কুশল পেরেরার দু’টি ক্যাচ ফেলে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও আফিফ হোসেন। দুইবারই বল করেছিলেন সাকিব।
শেষ পর্যন্ত তিনবার জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি করেন পেরেরা। অন্যদিকে, বল হাতে ১০ ওভারের কোটা পূর্ণ করলেও ইনিংস শেষে উইকেট শূন্য ছিলেন সাকিব। ম্যাচে সাকিবের বোলিং ফিগার ছিল ১০-০-৪৮-০।
এদিকে, শেষ ম্যাচে রেকর্ড বঞ্চিত সাকিব আল হাসান পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছেন। তিন ম্যাচে রান করেছেন মাত্র ১৯। প্রথম ম্যাচে ১৫ রান করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব ফিরেছেন খালি হাতে। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৪ রান।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]