নিদাহাস ট্রফির সেমি-ফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ ব্যাট করার সময় আম্পায়ের ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রতিবাদের এক পর্যায়ে খেলা চলাকলীন সময়ে ব্যাটসম্যানদের মাঠ ত্যাগের আহ্বান জানান তিনি। তবে এক পর্যায়ে পরিস্থিতি শান্ত হলে মাহমুদুল্লাহ শেষ ওভারে ১২ রান তুলে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান বাংলাদেশকে।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়, ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ জয়ী সুনীল গাভাষ্কার সাকিবের আচারণ নিয়ে প্রশ্নও তুলেন। বলেন, ‘সাকিবের এ রকম এগ্রেশন (আচরণ) ঠিক হয়নি। সাকিবের বিপক্ষে আইসিসির অনেক কড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। সাকিবের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে চুপচাপ থাকা উচিত ছিল।’
সাকিব মূলত যার জন্য এতো উত্তেজিত হয়েছিল সেটি হলো পর দুটি বল বাউন্স দেওয়ার পরও আম্পায়ার নো বল না দেওয়াকে কেন্দ্র করে। অথচ প্রতিবাদ ও উত্তেজনার পর আম্পায়ারদেরই ভুল হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে যাই হোক ক্রিকেট মাঠে এমন কাণ্ড এবারই প্রথম নয়। যে সুনীল গাভাষ্কার সাকিবের এমন আচারণে প্রশ্ন তুলেছে সে নিজেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সঙ্গী ব্যাটসম্যানকে নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন।
তাও আবার নিজের আউটের জন্য। সাকিব যেখানে দলের জন্য নেয্য প্রতিবাদ তুলেছিলেন। প্রথম ঘটনাটি ১৯৮১ সালে। সুনীল গাভাস্কার আম্পায়ারের দেওয়া সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। গাভাস্কারকে এলবিডব্লু আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে গাভাস্কার দাবি করেন বল তার ব্যাটের লেগেছিল। এর এক পর্যায়ে অপর প্রান্তের ব্যাটসম্যানকে নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেছিলেন।
দ্বিতীয় ঘটনা ১৯৯৯ সালে রানাতুঙ্গার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লেগ আম্পায়ারের দেয়া মুরালির চাকিংয়ের প্রতিবাদে ওয়াক আউট করার সিদ্ধান্ত নেন। আম্পায়ারের অযৌক্তিক সিগন্যালের বিপক্ষে যাওয়ার সাহস দেখাতে পেরেছিল রানাতুঙ্গা।
অথচ সেই রানাতুঙ্গা সাকিবদের পক্ষে কথা বললেও সুনীল গাভাষ্কারের সুর সাকিবের বিরুদ্ধে। ম্যাচের শেষে রানাতুঙ্গা জানান, আমার মতে আজ এমন কিছু করার দরকার ছিল না। শেষ ওভারের প্রথম ২ বল অতিরিক্ত বাউন্সের জন্য নো বল দিতে পারত আম্পায়ার। ম্যাচ শেষে শুনলাম লেগ আম্পায়ারের নো বল কল করেছিলেন আম্পায়ার উপেক্ষা করেছিল। হয়তবা কাল পরশু আসল ফুটেজ মিডিয়াতে আসবে।
উল্লেখ্য, ম্যাচ শেষ সকিবের ওমন আচারণের জন্য ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা এবং একটি ডিমেরট পয়েন্ট যোগ করেছে আইসিস। সাকিবের সঙ্গে মাঠে আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার নুরুল হাসানকেও একই শাস্তি দেয়া হয়েছে।
১৯৮১ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুনীল গাভাষ্কারের সেই টেস্ট ম্যাচ