সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ৫৪১ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। একই মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অবশ্য ওই পথে হাঁটলো না। ৫’শ রানের আগেই থামিয়ে দিল নিজেদের ব্যাটিং। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৪৯৩ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা।
তৃতীয় দিন শনিবার (১ মে) সকালে মাত্র ১৫ মিনিট ব্যাট করেছে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিন ৩ উইকেট নেওয়া তাসকিন আহমেদে আগের দিনের জুটি ভাঙতেই ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। যদিও সে সময় অন্যপ্রান্তে ব্যাট হাতে ৭৭ রানে অপরাজিত ছিলেন নিরোশান ডিকভেলা।
দ্বিতীয় দনি শুক্রবার বৃষ্টির কারণে শেষ দিকে প্রায় দেড় ঘণ্টা খেলা হয়নি। ফলে তৃতীয় দিন শনিবার নির্ধারিত সময়ে ১৫ মিনিট আগে দিনের খেলা শুরু হয়। এই ১৫ মিনিটে ৩ দশমিক ৩ ওভার ব্যাটিং করে ২৪ রান যোগ করেছে শ্রীলঙ্কা। রমেশ মেন্ডিস আউট হলেই ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।
এর আগে টাইগার পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং দাপটের পরও ৬ উইকেটে ৪৬৯ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল শ্রীলঙ্কা।
ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথম দিন ৯০ ওভারে ১ উইকেটে ২৯১ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। লাহিরু থিরিমান্নে ১৩১ ও ওশাদা ফার্নান্দো ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিন (শুক্রবার) থিরিমান্নেকে বেশি দূর যেতে দেননি তাসকিন। থিরিমান্নেকে ১৪০ রানে থামিয়ে বাংলাদেশকে দিনের প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে তাসকিন। ১৫টি চারে ২৯৮ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান থিরিমান্নে।
১০৫তম ওভারে থিরিমান্নের আরও একটি উইকেট শিকারে আনন্দ করতে পারতো বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশের ভুলে সেটি আর সম্ভব হয়নি। ওই ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। বাংলাদেশের বোলার-ফিল্ডাররা কোন আবেদনই করেননি। তবে টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল স্পর্শ করেছিল ম্যাথুজের।
শূন্য রানে জীবন পেলেও ম্যাথুজকে ঠিকই দ্রুত শিকার করে নেন তাসকিন। ১০৯তম ওভারের প্রথম বলে ৫ রান করা ম্যাথুজকে বিদায় দেন তাসকিন। ৬ রানের ব্যবধানে থিরিমান্নে-ম্যাথুজের বিদায়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দেন বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
প্রথম টেস্টে ১৬৬ রান করা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ২ রানে আটকে দেন তাইজুল। এতে ৩২৮ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। এরপর সর্তকতার সাথে খেলতে থাকে লঙ্কানরা। এ সেশনে ২৬ ওভারে ৪৩ রানের খরচে শ্রীলঙ্কার ৩ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশের বোলাররা। ৪ উইকেটে ৩৩৪ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
বিরতি থেকে ফিরে দলের স্কোর বড় করার পথে ছিলেন সেট ব্যাটসম্যান ওশাদা। সেঞ্চুরির পথে হাটচ্ছিলেন তিনি। তাকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা। তবে পরপর দু’ওভারে শ্রীলংকা শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন তাসকিন ও স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ।
১৩৬তম ওভারের চতুর্থ বলে নিশাঙ্কাকে বোল্ড করেন তাসকিন। ৩০ রান করেন নিশাঙ্কা। আর ১৩৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ওশাদাকে থামান তাসকিন। ২২১ বলে ৮টি চারে ৮১ রান করেন ওশাদা। ৩৮২ রানেই পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট পতনে বড় স্কোর গড়া নিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। তবে লঙ্কানদের চাপমুক্ত করেন উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবেলা ও রমেশ মেন্ডিজ।
সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১১৭ বলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৫৬তম ওভারে বৃষ্টি নামলে দিনের বাকি ২৪ ওভার আগেই শেষ হয় খেলা। দিন শেষে ডিকবেলা ৬৪ ও রমেশ ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বাংলাদেশের তাসকিন ৩৪ দশমিক ২ ওভার বল করে ১২৭ দিয়ে ৪টি উইকেটে পেয়েছেন। এছাড়া শরিফুল-তাইজুল-মিরাজ ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]