‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিরাপদ’

দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিরাপদ হাতে রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তার মতে, বড় তারকাদের অনুপস্থিতিতে নতুনরা যেভাবে দায়িত্ব পালন করছে তাতে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ ভালো।

ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সীমিত ওভারের সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট কিছুটা টালমাটাল অবস্থায় চলে যায় বলেও মন্তব্য করেন বিসিবি প্রধান। তবে শ্রীলঙ্কায় প্রথম টেস্টেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকেসের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এটি অন্যভাবে রয়েছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য আলোচনা হয়েছে, আমি নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, শেখ মাহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম এবং তাসকিন আহমেদের কথা বলবো। তাসকিন ছাড়া সবাই দলে নতুন খেলোয়াড়।’

পাপন বলেন, ‘যদি আপনি চলমান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টটি দেখেন, তবে তুলনামূলকভাবে একজন নতুন খেলোয়াড় নাজমুল হোসেন শান্ত ভালো করেছে। আমাদের তরুণ প্রজন্ম যেভাবে খেলছে আমি মনে করি আমাদের ভবিষ্যৎ খুব ভালো।’

বিসিবি সভাপতির মতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিপর্যয়মূলক ফলাফলে কৌশল ও একে অন্যের সাথে বোঝাপড়ায় ঘাটতি ছিল। এ জন্যই খালেদ মাহমুদ সুজনকে শ্রীলঙ্কায় দলের ডিরেক্টন হিসেবে পাঠানো হয়েছে।

খালেদ মাহমুদ দলকে উজ্জীবিত করেছে উল্লেখ করে পাপন বলেন, ‘আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি হেরেছি কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে, এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন যারা প্রথমবার নিউজিল্যান্ড সফরে গেছে এবং সেখানকার কন্ডিশন খুবই কঠিন ছিল।’

‘হারের জন্য খারাপ লাগার কোনো কারণ নেই। একই সাথে, আমাদের হারের অনেকগুলো কারণ ছিল। আমরা দক্ষতার সাথে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি এবং বোঝাপড়ায় ভুল ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমি অন্তত জানতে পারি, টস জিতলে দলটি প্রথমে ব্যাট করবে বা বল করবে কি-না। এমন একটি জিনিস যা আমি অতীতে জানতে পারিনি। খালেদ মাহমুদ ভালো করেছে এবং তার কারণে দলটি উজ্জীবিত হয়েছে। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারেন।’

বিসিবি বস বলেন, ‘দ্বিতীয়বার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর আমি বলেছিলাম যে, আমরা আমাদের পাইপলাইনে জোর দিব। আমরা আমাদের প্রোগ্রাম শুরু করেছিলাম, তবে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এটি বাধাগ্রস্থ হয়েছে। আপনি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ এবং বয়স ভিত্তিক স্তরের ক্রিকেট দেখেছেন। সঠিক পরিকল্পনার কারণে আমরা তাদের নিয়ে সফল হয়েছি। যদিও মহামারিতে আমাদের অগ্রগতি ব্যাহত করেছে, তবে আমি এখনও আশাবাদী, কারণ আমরা জুনিয়র পর্যায়ে পর্যাপ্ত মেধাবী খেলোয়াড় পেয়েছি।’